
গাজীপুরের শ্রীপুরে দুই দিন ধরে একটি কক্ষে আটকে রেখে এক নারী (২৮) পোশাক কর্মীকে গণধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী ওই নারী।
শনিবার বিকেলের দিকে মামলা রুজুর বিষয়টি যায়যায়দিনকে নিশ্চিত করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মন্ডল।
এর আগে গত বুধবার সন্ধ্যায় আটকে গণধর্ষণ করে শুক্রবার সকালে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ওই নারী। অপহরণের শিকার তার এক স্বজনকে মুক্তিপণের টাকা পরিশোধ করে ছাড়িয়ে আনতে গিয়েছিলেন তিনি।
নির্যাতনের শিকার নারীর বাড়ি বরিশাল জেলা সদরে। অপরদিকে অপহরণের শিকার তার স্বজন মোঃ নাজমুল ইসলাম (২৮) শ্রীপুরের একটি কারখানায় চাকরি করেন। তিনি টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর উপজেলার বাসিন্দা।
ধর্ষণের শিকার নারী ও তার স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নাজমুল ইসলামকে তার এক সহকর্মী শ্রীপুরের ফখরুদ্দিন মোড় এলাকায় ফোন করে ডেকে নেন। ফোন পেয়ে সেখানে উপস্থিত হলে তাকে কয়েকজন ব্যক্তি জোর করে একটি বাড়িতে নিয়ে আটকে রাখেন। সেখানে আটকে রেখে মারধর করে ওই যুবকের পরিবারের কাছে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়। এরপর ধর্ষণের শিকার ওই নারীকে ফোন করে নাজমুল তাকে ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। পরে ওই নারী টাকা নিয়ে অপহরণকারীদের নির্দিষ্ট করে দেওয়া স্থানে উপস্থিত হন। সেখানে যাওয়া মাত্রই কয়েকজন অজ্ঞাত ব্যক্তি তাকে জোর করে একটি বাড়িতে নিয়ে ঘরে আটকে রাখেন। সেখানে আটক রেখে সঙ্ঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়। এক পর্যায়ে শুক্রবার সকালে তাকে ও নাজমুলকে একটি রিকশায় উঠিয়ে দেয় অপহরণকারীরা। পরে তারা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যান।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জয়নাল আবেদীন মন্ডল যায়যায়দিনকে বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন। আমরা মামলার প্রেক্ষিতে আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছি। দ্রুত সময়ের মধ্যেই তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।’