আওয়ামী লীগের ইশতেহার ঘোষণা

আওয়ামী লীগ আজ বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ইশতেহার-২০২৪ উপস্থাপন ও ঘোষণা করছে। সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এই নির্বাচনী ইশতেহার উপস্থাপন ও ঘোষণা শুরু করেন।

আওয়ামী লীগের ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির সদস্যরা জানিয়েছেন, প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের পর এবার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে দুর্নীতি প্রতিরোধে বিশেষ পদক্ষেপ, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ এবং আর্থিক খাতের সুশাসনের ওপর জোর দিয়ে আসন্ন নির্বাচনের ইশতেহার প্রস্তুত করা হয়েছে।

গণমাধ্যমে ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির আহ্বায়ক ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক জানান, গণমানুষের দল আওয়ামী লীগের ইশতেহার শুধু একটি দলীয় ইশতেহার নয়।

এটি প্রকৃত অর্থে পুরো জাতির ইশতেহার।
তিনি বলেন, আসন্ন নির্বাচনে দেশের মানুষ আওয়ামী লীগের কাছ থেকে কী প্রত্যাশা করছে, আওয়ামী লীগের কাছে সেটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর আগে আওয়ামী লীগ তার প্রতিটি নির্বাচনী ইশতেহারে জাতিকে দেওয়া অঙ্গীকার শতভাগ প্রতিপালন করেছে।

আবদুর রাজ্জাক জানান, আওয়ামী লীগ প্রতিটি ইশতেহারে সরকারের নির্দিষ্ট মেয়াদের বাইরে দীর্ঘমেয়াদি নানা উন্নয়নের পথনকশা তৈরি করেছে। এর প্রতিটি অত্যন্ত সুচারুভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে। এবারও নির্বাচনী ইশতেহার হবে স্মার্ট ও গণমুখী।

আবদুর রাজ্জাক আরও বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের মাধ্যমে মানুষের কাছে আধুনিক প্রযুক্তি পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি দৃশ্যমান যে উন্নয়নগুলো হয়েছে, তার মাধ্যমে আগামী দিনে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে।

কিশোর ও যুব সমাজের বিষয়টি ইশতেহারে গুরুত্ব পাবে জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী দিনে যুবসমাজের জন্য কর্মসংস্থান করাই হবে এবারের মূল প্রতিপাদ্য।

তিনি জানান, স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্য হবে শিল্প-কারখানা স্থাপন করে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের নিয়ে শিল্পায়নকে ত্বরান্বিত করা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা, মানুষের আয় বৃদ্ধি করা।

ইশতেহার কমিটির সদস্যসচিব এবং আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সমপাদক ড. সেলিম মাহমুদ বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির কাজ শেষ হয়েছে। এবারের ইশতেহারের মূল থিম―‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণ। পাশাপাশি তরুণ ভোটারদের কিভাবে কাছে টানা যায় সেটি ইশতেহারে প্রাধান্য পেয়েছে। এ ছাড়াও গুরুত্ব পেয়েছে কৃষি, সেবা, অর্থনৈতিক ও শিল্প উৎপাদন খাত।

তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের মৌলিক অধিকারও নিশ্চিত করা হবে। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নের বিষয়গুলো ইশতেহারে স্থান পেয়েছে।

২০০৮ সালের নির্বাচনে ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের রূপরেখা সংবলিত স্লোগান ছিল ‘দিনবদলের সনদ’। এরপর ২০১৪ সালের দশম সংসদ নির্বাচনে ছিল ‘এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ’। ২০১৮ সালে একাদশ নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দলটির ইশতেহারে স্লোগান ছিল, ‘সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাককে আহ্বায়ক করে গত ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে কাজ শুরু করে ২৫ সদস্যের ইশতেহার প্রণয়ন কমিটি। কমিটির তৈরি খসড়া থেকে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশনায় তৈরি হয়েছে চূড়ান্ত ইশতেহার।