
ভারতের অন্যতম শীর্ষ ধনী গৌতম আদানির বিরুদ্ধে আমেরিকায় প্রতারণার অভিযোগ আনা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, আদানি ২৫০ মিলিয়ন ডলার (১৯৮ মিলিয়ন পাউন্ড) ঘুষ কেলেঙ্কারির অভিযোগে অভিযুক্ত।
বুধবার আদানির বিরুদ্ধে নিউ ইয়র্কে এই ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়। আদানি ভারতের অন্যতম ধনী ব্যক্তি এবং তার ব্যবসায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে বন্দর, বিমানবন্দর এবং নবায়নযোগ্য শক্তি খাত।
অভিযোগপত্রে প্রসিকিউটররা দাবি করেন, এই ব্যবসায়ী এবং তার অন্যান্য শীর্ষ নির্বাহীরা ভারতীয় সরকারি কর্মকর্তাদের ঘুষ দেওয়ার জন্য একটি চুক্তিতে সম্মত হয়েছেন। যাতে তার নবায়নযোগ্য শক্তি সংস্থার জন্য এমন চুক্তি হবে যা আগামী ২০ বছরে ২ বিলিয়নেরও বেশি লাভ আনবে।
যদিও আদানি গ্রুপের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। উল্লেখ্য, আদানি গ্রুপ ২০২৩ সাল থেকেই যুক্তরাষ্ট্রে বিতর্কিত। বিশেষ করে যখন একটি হাই-প্রোফাইল কোম্পানি তাদের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ তোলে। যদিও গৌতম আদানি সে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
এই ঘুষ কেলেঙ্কারির তদন্তের খবর কয়েক মাস ধরে শোনা যাচ্ছে। প্রসিকিউটররা জানান, যুক্তরাষ্ট্র ২০২২ সালে আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করলে সে তদন্তে বাধা দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে গৌতম আদানির।
মার্কিন অ্যাটর্নি ব্রিয়ন পিস এক বিবৃতিতে বলেন, ‘ভারতীয় সরকারি কর্মকর্তাদের ঘুষ দেয়ার মাধ্যমে আসামিরা একটি জটিল পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করছিলো। তারা আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে পুঁজি সংগ্রহের সময়ে নানা মিথ্যার আশ্রয় নেয়।’
রয়টার্স বলছে, গৌতম আদানি ও সাগর আদানির বিরুদ্ধে একজন বিচারক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। প্রসিকিউটররা এই পরোয়ানা বিদেশি আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর কাছে হস্তান্তর করার পরিকল্পনা করেছেন।
গৌতম আদানি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে পরিচিত। বিরোধী রাজনীতিবিদরা দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছে, আদানি তার রাজনৈতিক সম্পর্কের মাধ্যমে লাভবান হয়েছেন। যদিও তিনি এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
যদিও ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে পুনরায় নির্বাচিত হলে মার্কিন বিচার বিভাগ সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দেন। গত সপ্তাহে সোশ্যাল মিডিয়ায় আদানি ট্রাম্পকে নির্বাচনে জয়ী হওয়ার জন্য অভিনন্দন জানান এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করার ঘোষণা দেন। -বিবিসি