সরকারবিরোধীদের চলমান আন্দোলনকে তৃণমূলে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। রংপুর বিভাগের জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়ের জন্য এই সভার আয়োজন করা হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘১০ দফা দাবি আদায়ে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলছে। এরই মধ্যে জনগণ সেই আন্দোলনে সম্পৃক্ত হয়েছে। এই আন্দোলনকে সবখানে ছড়িয়ে দিতে হবে। জনসম্পৃক্ততা আরও বাড়িয়ে গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এই সরকারের পতন ঘটাতে হবে।’
তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘জনগণকে আরও সম্পৃক্ত করতে হবে। যেহেতু আপনারা জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হয়েছিলেন অথবা এখনো নির্বাচিত আছেন। আপনাদের একটা দায়িত্ব আছে জনগণকে আরও বেশি করে সম্পৃক্ত করার। সেই দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানাচ্ছি। যে আন্দোলন শুরু হয়েছে, সেই আন্দোলনে আমরা কীভাবে অংশগ্রহণ করছি আর মানুষ আরও কী করে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে পারে, কীভাবে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে, গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এই সরকারকে সরাতে পারি, সেই লক্ষ্যেই মতবিনিময়।’
ফখরুল বলেন, ‘দেশকে রক্ষা করার জন্য, মানুষকে রক্ষা করার জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করতে হবে। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই সরকারকে সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করব।’
সরকারের বিরুদ্ধে দমন-নিপীড়নের অভিযোগ এনে বিএনপির মহাসচিব বলেন, বিরোধী মতকে তারা (সরকার) কোনো ভাবেই সহ্য করতে পারছে না। আজকে তারা পুলিশকে ব্যবহার করছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করছে, প্রশাসনকে ব্যবহার করছে। জনগণের ন্যায়সংগত দাবিকে দমন করতে তারা সব রকম চেষ্টা করছে।
সরকারের বিরুদ্ধে নির্বাচন কারচুপির অভিযোগ এনে ফখরুল বলেন, নির্বাচনে কারচুপি করতে প্রত্যেকবার তারা নতুন নতুন কৌশল আবিষ্কার করে। এভাবে তারা গণতন্ত্রকে পুরোপুরিভাবে ধ্বংস করেছে। ২০১৪ ও ২০১৮ এর নির্বাচন তারা ভোটার ছাড়াই সম্পন্ন করেছে। আজকে জনগণ নির্বাচন বিমুখ হয়ে গেছে। তারা আর ভোট দিতে যেতে চায় না।