আরাভ খান। মাত্র ৪ বছরে কোটি কোটি টাকার মালিক। এর আগে কোন বাংলাদেশী দুবাইয়ে এত বিলাসী জীবন যাপন করতে পারেনি।
দুবাইয়ের বুর্জ খলিফার ৬৫ তলায় ফ্ল্যাট কিনেছেন। যার নম্বর ৬৫১০। আরও ৪-৫টি ফ্ল্যাটের মালিকও তিনি। পাশাপাশি রয়েছে একটি সুইমিংপুল ও বাগানসহ বড় ডুপ্লেক্স বাড়ি। যেখানে মাঝেমধ্যে মায়াবী হরিণ জবাই দিয়ে বাংলাদেশিদের দাওয়াত খাওয়ান।
বাগানে চাষ করছেন বাংলাদেশি সবজি। রয়েছে একাধিক দামি গাড়ি। আরাভ জুয়েলার্সের উদ্বোধন উপলক্ষে ৬০ কেজি সোনা দিয়ে বানানো হয়েছে বাজপাখির আদলে লোগো, যা তৈরিতে সময় লেগেছে প্রায় আড়াই মাস। এটা তৈরিতে খরচ হয়েছে প্রায় ৪৫ কোটি টাকা।
আরাভ খানের একটা স্বর্ণের দোকান উদ্বোধন করতে সাকিব আল হাসান, দেবাশীষ বিশ্বাস, হিরো আলম সহ অনেক তারকারা এখন দুবাইতে।
আরাভ খানের প্রকৃত নাম রবিউল ইসলাম। শুরুটা হয় বাংলাদেশে একজন পুলিশকে হত্যা করে।
আয়নাবাজি সিনেমার মতো আবু ইউসুফ নামের এক লোককে ম্যানেজ করে রবিউল ইসলাম সাজিয়ে আদালতে আত্মসমর্পন করান।
এরপর অরিজিন্যাল রবিউল চলে যান ইন্ডিয়ায়। সেখানে গিয়ে আরাভ খান নামে পাসপোর্ট করে চলে যান দুবাইতে। শুরু করেন স্বর্ণের ব্যবসা। আংগুল ফুলে বটগাছ হয়ে যায়। সাকিব আল হাসান সহ অনেক বড় বড় মানুষকে কেনার ক্ষমতা এখন আরাভ খানের।