আরো ৪২ জিম্মির মুক্তি, যুদ্ধবিরতি বাড়াতে চলছে আলোচনা

এবার আরো ১২ জিম্মিকে মুক্তি দিলো হামাস এবং ৩০ বন্দিকে মুক্তি দিলো ইসরায়েল। গত শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) শুরু হওয়া যুদ্ধবিরতির মেয়াদ ইতিমধ্যে দুই দিনের জন্য বাড়ানো হয়েছে। যা আজ বুধবার (২৯ নভেম্বর) শেষ হওয়ার কথা। এর মধ্যে শর্ত অনুযায়ী হামাস যেমন মোট ৮১ জন আটক ইসরায়েলি ও বিদেশিদের ছেড়েছে, ইসরায়েলও তাদের জেলে বন্দি ১৮০ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিয়েছে। এবার সেই যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরো বাড়াবার জন্য চলছে আলোচনা।

কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর জন্য মধ্যস্থতাকারীরা কাজ করে যাচ্ছেন। এছাড়া বর্তা সংস্থা রয়টার্স ও এএফপি-র রিপোর্ট বলছে, আমেরিকা ও ইসরায়েলের গোয়েন্দা কর্তারা কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে কথা বলছেন। সিআইএ-র ডিরেক্টর উইলিয়াম বার্নস ও মোসাদ প্রধান ডেভিড বার্নিয়া কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে আলোচনা করবেন।

ইসরায়েলের সরকারি মুখপাত্র জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরো পাঁচদিন বাড়াতে তাদের আপত্তি নেই।

মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) ১২ জন পণ বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। এর মধ্যে ১০ জন ইসরায়েলের নাগরিক এবং দুইজন থাইল্যান্ডের নাগরিক। গাজা থেকে তারা ইসরায়েলে প্রবেশ করেছেন। থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, তাদের দুইজন নাগরিক মুক্তি পাওয়ায় তিনি খুশি।

৭ অক্টোবর হামাসের আক্রমণে ৩৯ জন থাইল্যান্ডের নাগরিক মারা গেছেন। ৩২ জনকে পণ বন্দি করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ইসরায়েলে ৩০ হাজারের মতো থাই নাগরিক কাজ করেন। মূলত তারা কৃষি-শ্রমিক। আর ইসরায়েল তাদের জেলে থাকা ৩০ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিয়েছে।

এছাড়া, গাজার মানুষদের জন্য প্রায় ২৫ টন খাবার ও ওষুধ পাঠালো অ্যামেরিকা। এই খাবার ও ওষুধ মিশরের লজিস্টিকস হাবে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখান থেকে তা গাজায় বেসামরিক মানুষের কাছে পাঠানো হবে বলে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, আগামী কয়েকদিনে তিনবার এরকম ত্রাণসামগ্রী নিয়ে যাওয়া হবে। গাজার মানুষের জীবন বাঁচানো ও তাদের দুর্দশা কম করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

৭ অক্টোবর হামাস-ইসরায়েল সংঘাত শুরুর পর এই প্রথমবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ত্রাণ পাঠালো।

সূত্র: ডয়চে ভেলে