দুই সপ্তাহ ধরে ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পর অবশেষে গাজার আল শিফা হাসপাতাল ত্যাগ করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। সোমবার (১ এপ্রিল) অভিযান চলাকালে বেশ কয়েকজন হামাস যোদ্ধাকে হত্যা ও আটক করার পর হঠাৎ এই সরে আসার খবর জানায় ইসরায়েলি বাহিনী। খবর আল জাজিরার।
গত ১৮ মার্চ গাজার সর্ববৃহৎ এই হাসপাতালে অভিযান চালায় ইসরায়েলি বাহিনী।হামলার কারণ হিসেবে হাসপাতালটিকে ব্যবহার করে হামাস যোদ্ধাদের হামলা চালানোর বিষয়টিকে উত্থাপন করা হয়। আরও অনেক হাসপাতাল দখলের সময়ও ইসরায়েলি বাহিনী একই কথা বলেছিল, যা অস্বীকার করে এসেছে হামাস।
ইসরায়েলি হামলার ফলে আল শিফা হাসপাতাল ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মানুষ যতোটুকু পারছে জিনিসপত্র বাঁচানোর চেষ্টা করছে। হাসপাতালটিতে বাস্ত্যুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা আশ্রয় নিয়েছিল।
আল জাজিরার সাংবাদিক আল ঘুলের মতে, হাসপাতালটির সবগুলো ভবন পুড়ে গেছে এবং ভবনগুলোর কাঠামো ভেতর থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী সুনির্দিষ্টভাবে গাজার স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যেই এই হামলা চালিয়েছিল।
এদিকে, আল শিফা হাসপাতালে পরিচালিত অভিযানকে সফল বলে দাবি করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এক হিসাবে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী হাসপাতালটিতে হামলা চালিয়ে হামাসের শীর্ষ নেতাদের হত্যা, ৯০০ জন হামাস যোদ্ধাকে আটক এবং ৩ মিলিয়ন ডলার মূল্যের মুদ্রা ও অস্ত্র উদ্ধারের কথা জানিয়েছে।
হাসপাতালটির কর্তৃপক্ষ ইসরায়েলি বাহিনী চলে যাওয়ার পর শতাধিক লাশ খুঁজে পাওয়ার কথা জানিয়েছে।
রোববার (৩১ মার্চ) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেদ্রোস আধানম ঘেব্রিয়েসাস ইসরায়েলি হামলায় আল শিফা হাসপাতালে ২১ জন রোগীর মৃত্যুর তথ্য জানান।