বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, খেলা হবে, আগামী নির্বাচনে খেলা হবে। আন্দোলনের বিরুদ্ধে খেলা ও মোকাবিলা হবে। ভোট চোরের বিরুদ্ধে খেলা হবে। ভুয়া ভোটার তালিকার বিরুদ্ধে খেলা হবে। আওয়ামী লীগ প্রস্তুত।
গতকাল সোমবার বিকেলে টাঙ্গাইল স্টেডিয়ামে দীর্ঘ ৭ বছর পর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিকী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিকেল ৩টা ৫৭ মিনিটে তিনি সভামঞ্চে পৌঁছালে আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতাকর্মীরা তাকে করোতালি দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পুরস্কৃত করেছে জিয়াউর রহমান। তাদের বিচার বন্ধ করতে আইন করেছিলেন জিয়াউর রহমান। খুনিদের পুরস্কৃত করেছে, খুনিদের বিচার বন্ধ করতে চেয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে খেলা হবে। সকল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে খেলা হবে। খুনিদের ক্ষমা করা যায় না। শেখ হাসিনা সরকার সাধারণ মানুষের কষ্ট লাঘব করছে। সেই সরকারের বিরুদ্ধে তারা সাধারণ জনগণকে উস্কানী দিচ্ছে।
মন্ত্রী আরো বলেন, ১৩ বছরে ১৩ দিনেও একটি মিছিল বের করতে পারেনি। তারাই আবার আন্দোলন করবে। খালেদা জিয়াকে নিয়ে বিজয় মিছিল করবে। তারেক জিয়া মুচলেকা দিয়ে বিদেশ চলে গিয়েছে। কার নেতৃত্বে বিএনপি আন্দোলন করবে? শেখ হাসিনা ডাক দিলে ঢাকায় লাখ লাখ লোক বের হবে। অলিগলি ভরে যাবে। বাইরের লোক লাগবে না। পালাবার দল আওয়ামী লীগ না। পালাবার দল বিএনপি। এবার কোথায় পালাবেন? এই দিন দিন না, আরো দিন আছে।
বরিশালে নাকি ঢল। কীর্তনখোলার তীরে ঢল। মির্জা ফখরুল রংপুরে একবস্তা টাকা শেষ করে গেছে। টাকার বস্তার ওপর বসেছিল। সেই দুবাইয়ের টাকা এই টাকা উড়ে বরিশালে। সেই টাকা বরিশালে। মির্জা ফখরুল টাকার ওপর বসে আছে।
সম্মেলনের উদ্বোধন করেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এমপি।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একুশে পদকপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান খান ফারুকের সভাপতিত্বে ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা জোয়াহেরুল ইসলাম এমপি- এর সঞ্চালনায় ত্রি-বার্ষিকী সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান এমপি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ এমপি, সভাপতি মন্ডলীর সদস্য শাহজাহান খান এমপি, সভাপতি মন্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মণি এমপি।
প্রধান বক্তা ছিলেন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি। বিশেষ বক্তা ছিলেন, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মো. সিদ্দিকুর রহমান, শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, সদস্য সানজিদা খানম, সৈয়দ আব্দুল আউয়াল শামীম, ইকবাল হোসেন অপু এমপি ও মোহাম্মদ সাঈদ খোকনসহ টাঙ্গাইল সকল আসনের সংসদ সদস্য প্রমুখ।
নিজস্ব প্রতিবেদক