ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ইসির বৈঠক সম্পন্ন

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের বৈঠক শেষ হয়েছে।

বুধবার (২৯ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিকেল ৩টায় নির্বাচন কমিশন ভবনের ৫০২ নম্বর কক্ষে বৈঠক শুরু হয়।

বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ অন্য চার কমিশনার উপস্থিত রয়েছেন। অন্যদিকে, ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের অ্যাম্বাসেডর চার্লস হোয়াইটলির নেতৃত্বে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ডেপুটি হেড অব মিশন ব্রেন্ড স্পাইনার, সংস্থাটির পলিটিক্যাল অফিসার সেবাস্তিয়ান রিগার ব্রাউন, সুইডেনের অ্যাম্বাসেডর আলেকজান্ডার বার্গ ফন লিন্দ্রে, ডেনমার্কের অ্যাম্বাসেডর ক্রিস্টিয়ান ব্রিক্স মুলার, স্পেনের অ্যাম্বাসেডর ফ্রান্সিসকো ডি আসিস বেনিতেজ সালাস, ইতালির অ্যাম্বাসেডর আন্তোনিও অ্যালেসান্দ্রো, কিংডম অব নেদারল্যান্ডসের অ্যাম্বাসেডর ইরমা ফেন ডুয়েরেন, ফ্রান্সের ডেপুটি হেড অব মিশন গুইলাম অড্রেম ডে কারড্রেল ও জার্মান অ্যাম্বাসির এক প্রতিনিধি উপস্থিত রয়েছেন।

এর আগে, ২২ নভেম্বর বৈঠক করতে চেয়ে সিইসিকে ই-মেইল করেন ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি। এতে বৈঠকের জন্য ২৭ নভেম্বর সময় চেয়েছিলেন তিনি। তবে বেশির ভাগ কমিশনার নির্বাচনী সফরে ঢাকার বাইরে অবস্থান করায় ২৭ নভেম্বরের পরিবর্তে ২৯ নভেম্বর সময় দেয় ইসি।

ইইউ রাষ্ট্রদূতের চিঠিতে বলা হয়, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এ নির্বাচন উপলক্ষ্যে আমরা এরই মধ্যে আপনাদের সাথে তথ্য আদান-প্রদান করেছি।

চিঠিতে আরো জানানো হয়, আগামী সপ্তাহে ইইউ মিশনের প্রধানদের সাথে আপনারা যৌথ বৈঠকের সুযোগ করে দেবেন। ২৭ নভেম্বর বিকেল ৩টায় আপনার সাথে বৈঠক করতে আগ্রহ প্রকাশ করছি। এ বিষয়ে আপনার প্রতিক্রিয়া ও আলোচনার জন্য উন্মুখ হয়ে আছি।

এর আগেও কয়েক দফায় নির্বাচন কমিশনের সাথে বৈঠক করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। সংস্থাটি থেকে সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা বলা হচ্ছে। চলতি বছরের জুলাই মাসে দুই দফায় ইসির সাথে বৈঠক করেন ইইউ প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল। বৈঠকে নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতি ও সক্ষমতা জানতে চায় ইইউ। এছাড়া দেশের নির্বাচনী পরিবেশ পর্যবেক্ষণ করেন এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সাথেও বৈঠক করেন তারা। পরবর্তীতে ইইউ পর্যবেক্ষক দল নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে শঙ্কার কথা জানান এবং পূর্ণাঙ্গ পর্যবেক্ষক দল না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন। পরবর্তীতে সিইসি স্বল্প পরিসরে হলেও নির্বাচনে পর্যবেক্ষক দল পাঠানোর জন্য ইইউকে চিঠি দেন।