
ইজতেমা ময়দান প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১২ জানুয়ারি ২০২৩
ইজতেমায় আসার গুরুত্ব সম্পর্কে এবং সময় নষ্ট না করে একনিষ্ঠতার সাথে আল্লাহ তাআলার ইবাদত বন্দেগীতে এই তিনদিন যেন অতিবাহিত হয় সেই ব্যাপারে সকলকে পরিপূর্ণ খেয়াল রাখার কথা বলা হয় আজ ফজর বাদ বয়ানে। বক্তা বলেন,
ইজতেমার এই তিন দিনে শুধুমাত্র আল্লাহ তাআলার কথাই বলবো ।আল্লাহর রাসূলের কথা বলব । আখেরাতের আলোচনা করব । দুনিয়াবি কোন কথাবার্তা দুনিয়াবি কোন কাজে আমাদের সময়টাকে অপচয় করবো না।
আর ইজতেমার এই তিন দিনে যা চাইবো তা হচ্ছে শুধুমাত্র আল্লাহ তাআলার মহাব্বাতই চাইবো। এবং আল্লাহ তা’আলার ভয় যেন আমাদের অন্তরে আসে সে ভয় আল্লাহতালার কাছে চাইবো।
দাওয়াত ও তাবলীগের এই মেহনতের মাধ্যমে নিজের হেদায়েতের পথ এবং অন্যকে হেদায়েতের দাওয়াতের পথ আল্লাহ তায়ালা সহজ করে দেন।
আর নবীওয়ালা মেহনতের মধ্যে সর্ব প্রথম আমল হল دعوة إلي الله অর্থাৎ আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেওয়া।
এবং সর্বপ্রথম যে জিনিসটা আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে তা হলো আমাদের দিলের মধ্যে আল্লাহতালার বড়াই আজমত এবং আল্লাহ তায়ালার অসীম খাজানার কথা সর্বাবস্থায় দিলের মধ্যে স্বরন রাখতে হবে।
আর যখন দিলের মধ্যে আল্লাহ তাআলার আজমত এবং আল্লাহ তা’আলার বরত্ব বসে যাবে তখন আমাদের দিলের মধ্যে আল্লাহ তায়ালার মহব্বত তৈরি হয়ে যাবে।
আর প্রত্যেক ঈমানওয়ালার জন্য বিশেষভাবে সমস্ত জিনিসের ক্ষেত্রে আল্লাহতালার মহাব্বত অন্তরের মধ্যে জাগ্রত করাএকান্ত ভাবে আবশ্যক। আমাদের অন্তরে আল্লাহতালার প্রতি অনুগত, আল্লাহ তায়ালার বিধান পরিপূর্ণভাবে মানা, এটা আল্লাহ তাআলার প্রতি মহাব্বত সৃষ্টি হওয়ার মাধ্যমেই আসবে।
আর যে বিষয়টি সর্ব অবস্থায় মনে রাখতে হবে সেটি হচ্ছে আল্লাহ তাআলার ভয় অন্তরের মধ্যে সর্ব অবস্থায় জাগ্রত রাখা যাতে করে আল্লাহতালা অসন্তুষ্ট হয়ে যায় এমন কোন কাজ আমার দ্বারা সংগঠিত না হয়। আর যখন মানুষের অন্তরের মধ্যে আল্লাহতালার ভয় সৃষ্টি হবে তখন সে সর্বপ্রকার গুনাহের কাজ এবং নাফরমানী থেকে বেঁচে থাকতে পারবে। আর যে ব্যক্তি আল্লাহ তায়ালার নাফরমানি থেকে বেঁচে যাবে সে আল্লাহ তায়ালার সবচেয়ে বড় বান্দা হওয়ার সুযোগ লয় লাভ করবে।
আমাদের অন্তরের মধ্যে আরও যে জিনিসটা গভীরভাবে বসাইতে হবে সেটা হচ্ছে যে, আমাদের জীবন গড়ার সম্পর্ক না দুনিয়ার সাথে,না দুনিয়ার সম্পদের সাথে, না কোন বড় ডিগ্রীর সাথে, দুনিয়ার কোন জিনিসের সাথে আমাদের জিন্দেগী গড়ার কোন সম্পর্ক নেই। আমাদের জিন্দেগী একমাত্র আল্লাহ তাআলা বানাইবেন আমাদের জিন্দেগীর সম্পর্ক একমাত্র আল্লাহ তাআলার সাথে।
অতঃপর হযরত বলেন আর এই তিন দিন এই বিষয়গুলোর উপরেই আলোচনা হবে আর আমরা যে আলোচনাগুলো শুনবো তা দিলের কান দিয়ে শুনে এবং তার উপর আমল করার চেষ্টা করব।