ইরাক ও সিরিয়া থেকে বিপুল মার্কিন অস্ত্র চুরি 

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরাক ও সিরিয়ায় মোতায়েন করা যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের জন্য সরবরাহ করা বিপুল পরিমাণ মার্কিন অস্ত্র চুরি হয়ে গেছে। এই সমস্ত অস্ত্র চূড়ান্তভাবে ভুল হাতে পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

মার্কিন গণমাধ্যম ‘দ্যা ইন্টারসেপ্ট’ বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, লাখ লাখ ডলার মূল্যের চুরি হয়ে যাওয়া অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জামের মধ্যে রয়েছে আর্টিলারি ইকুইপমেন্ট, উইপন সিস্টেম এবং বিশেষায়িত গোলাবারুদ। গত কয়েক বছর ধরে এই সমস্ত অস্ত্র ও গোলাবারুদ চুরি হয়েছে।

‘তথ্য পাওয়ার স্বাধীনতা’ আইনের আওতায় ইন্টারসেপ্ট মার্কিন সামরিক বাহিনীর কাছ থেকে এই ব্যাপারে তদন্তের কাগজপত্র হাতে পেয়েছে। এতে দেখা যায়, ২০২০ সাল থেকে ২০২২ সালের মধ্যে ইরাক ও সিরিয়ায় চারটি বড় চুরির ঘটনা ঘটেছে যাতে দুই লাখ ডলার মূল্যের অস্ত্র খোয়া গেছে। এরমধ্যে রয়েছে ৪০ মিলিমিটারের উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন গ্রেনেড যা মার্কিন স্পেশাল ফোর্স ব্যবহার করে থাকে।

ইন্টারসেপ্টের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, চুরির ধরণ দেখে বোঝা যায়- বারবার একই গোষ্ঠী এই চুরির সঙ্গে জড়িত ছিল। 

২০২০ সালের পেন্টাগনের অডিট রিপোর্ট থেকে ইন্টারসেপ্ট আরও জানতে পেরেছে যে, কুর্দি নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সেস বা এসডিএফ ৭১৫.৮ মিলিয়ন ডলার মূল্যের অস্ত্র অস্ত্র কিনেছে, কিন্তু ঠিকমতো হিসাব দেয়নি। এই গোষ্ঠী ইরাকের উত্তর-পূর্ব এলাকা অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে।

এসব গুরুত্বপূর্ণ ও বিপুল পরিমাণ অস্ত্র চুরি হয়ে যাওয়ার ব্যাপারে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। কারণ এ সমস্ত অস্ত্র চূড়ান্তভাবে আল-কায়েদা, দায়েশ এবং আল-নুসরা ফ্রন্টের মতো উগ্রবাদী গোষ্ঠীর হাতে পড়তে পারে।