ইরানের ওপর চাপ বাড়াতে বলছে ইসরায়েল

আঞ্চলিক উত্তেজনা ঠেকাতে ইরানের ওপর চাপ বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট। মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ আহ্বান জানান। খবর মিডলইস্টমনিটর।

বৈঠকে গ্যালান্ট আরও বলেন, উত্তর ফ্রন্টে ইসরায়েলের অগ্রাধিকার হচ্ছে বর্তমান নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নতি এবং হিজবুল্লাহর হামলা বন্ধের পর সেখানকার বাসিন্দাদেরকে তাদের বাড়িতে ফিরিয়ে দেওয়া। অন্যদিকে দক্ষিণ গাজার শহর খান ইউনিসে লড়াইয়ের গতি আরও তীব্র হবে। হামাসের নেতাদের ধরা বা হত্যা না করা এবং ইসরায়েলি যুদ্ধবন্দীদের উদ্ধার না করা পর্যন্ত এ লড়াই অব্যাহত থাকবে।

এক্ষেত্রে আঞ্চলিক উত্তেজনা ঠেকাতে ইরানের ওপর চাপ বাড়ানোর দাবি জানান গ্যালান্ট। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন সময় দাবি করে আসছে ফিলিস্তিনের হামাস ও লেবাননের হিজবুল্লাহকে অস্ত্রসহ নানা ধরনের সহায়তা দিয়ে থাকে ইরান।

এর আগে গাজা উপত্যকায় সামরিক অভিযান বন্ধে ইসরায়েলকে চাপ দিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগঠন হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়া।

শুক্রবার এক ভিডিও বার্তায় হানিয়া বলেন, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনী গত তিন মাস ধরে যে নির্বিচার সামরিক অভিযান চালাচ্ছে, তা বন্ধে মধ্যপ্রাচ্য সফরকে কাজে লাগাতে পারেন ব্লিঙ্কেন। তিন মাস ধরে ইসরায়েল যেভাবে গাজা উপত্যকায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে, তা থেকে ইসরায়েলের মূল উদ্দেশ্য সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্র স্পষ্ট ধারণা পেয়ে গেছে বলে আমরা মনে করি।

তিনি আরও বলেন, গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী যে ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ ও প্রাণহানি ঘটিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা ও সমর্থন ব্যতীত তা কখনোই সম্ভব হতো না। এ অবস্থায় আমরা আশা করছি, গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান বন্ধ করা ও গণহত্যা চালানো থেকে তাদেরকে বিরত করার দিকে ব্লিঙ্কেন মনোযোগ দেবেন।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় এলাকায় হামাস যোদ্ধারা অতর্কিত হামলা চালানোর পর ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বিমানবাহিনী। পরে ২৮ অক্টোবর থেকে অভিযানে যোগ দেয় স্থলবাহিনীও। তিন মাসের এ হামলায় ইসরায়েল ২৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। এ সময় আহত হয়েছে আরও ৫৮ হাজার ফিলিস্তিনি।