চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক স্তরে একতরফা ইরানের বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, চীন তার সঙ্গে একমত নয়। ইরানের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় চীন সাহায্য করবে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসি এখন চীন সফর করছেন। চীনের সঙ্গে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করতে চায় ইরান। গত ২০ বছরের মধ্যে এই প্রথম ইরানের প্রেসিডেন্ট চীন সফর করছেন।
ইরানের পরমাণু প্রকল্পের বিষয়ে শি জিনপিং বলেছেন, পরমাণু প্রকল্প নিয়ে একটা ন্যায্য প্রস্তাব নেওয়া দরকার। এ বিষয়েও ইরানের পাশে আছে চীন। ইরানের পরমাণু চুক্তি সংক্রান্ত আলোচনায় চীন অংশ নেবে। চীন চায়, এই আলোচনা আবার শুরু হোক।
২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি হয়েছিল। কিন্তু ডোনান্ড ট্রাম্প যখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট, তিনি তখন এই চুক্তি থেকে সরে আসেন। বাইডেন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর আবার চুক্তিতে ফেরার আগ্রহ দেখায় যুক্তরাষ্ট্র। তারপর আলোচনা শুরু হয়েছে, তবে এ বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। ইরান অবশ্য জানিয়েছে, তারা শান্তিপূর্ণ কাজে পরমাণু শক্তির ব্যবহার করছে। তাদের দাবি, আগে ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে হবে। তারপর তারা পরমাণু চুক্তি আবার করার ব্যাপারে ভাববে।
গত সেপ্টেম্বরে ইরানের তেল বিক্রির ওপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করে যুক্তরাষ্ট্র। এ পরিস্থিতিতে শি বলছেন, বর্তমান জটিল পরিস্থিতিতে ইরান ও চীন পরষ্পরকে সমর্থন ও সহযোগিতা করে যাবে।