ইলন মাস্ককে গাজা পরিদর্শনের আমন্ত্রণ জানিয়েছে হামাস

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এর সিইও ইলন মাস্ককে ইসরাইলি বোমাবর্ষণের ফলে সৃষ্ট ধ্বংসযজ্ঞ দেখতে গাজা উপত্যকা পরিদর্শনের আমন্ত্রণ জানিয়েছে হামাস।

আজ বুধবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্ককে মঙ্গলবার গাজা উপত্যকা পরিদর্শনের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। হামাসের ঊর্ধ্বতন ওই কর্মকর্তা বলেন, আমরা তাকে গাজার জনগণের বিরুদ্ধে সংঘটিত গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞের পরিধি দেখার জন্য গাজা সফরের আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।

হামাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ওসামা হামদান বৈরুতে এক সংবাদ সম্মেলনে ইলন মাস্ককে এ আমন্ত্রণ জানান।

ইলন মাস্ক হলেন- টেসলা মোটরস, স্পেসএক্স ও এক্স-এর সিইও। সোমবার ইলন মাস্ক ৭ অক্টোবর হামলার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে ইসরাইলে যান। এর পরিপেক্ষিতে তাকে গাজা উপত্যকা পরিদর্শনের আমন্ত্রণ জানানো হয়।

এদিকে, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে, গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি হামলায় কমপক্ষে ১৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যার মধ্যে ৮ হাজারেরও বেশি শিশু এবং নারী। আহত হয়েছে ২৮ হাজার ২০০ জনেরও বেশি ।

গত মাস থেকে অবরুদ্ধ ছিটমহলে ইসরাইলের অবিরত বিমান ও স্থল হামলায় হাসপাতাল, মসজিদ এবং গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে।

ইসরাইলি সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, ইতোমধ্যে ১ হাজার ২০০ ইসরাইলি নিহত হয়েছে।

উল্লেখ্য, গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ইসরাইলের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করেছে বলে ঘোষণা করে। এর প্রতিরোধে পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরাইল।

এক বিবৃতিতে হামাসের সামরিক শাখার প্রধান মোহাম্মদ দেইফ বলেন, গত শনিবার (৭ অক্টোবর) সকালে ইসরাইলে পাঁচ হাজার রকেট বর্ষণের মাধ্যমে ‘অপারেশন আল-আকসা স্ট্রম’ শুরু হয়েছে। এ সময় ইসরাইল গাজা থেকে অনুপ্রবেশের কথা স্বীকার করে।

বস্তুত, ১৯৫৩ সালের পর এই প্রথম এত বড় মাত্রার যুদ্ধ শুরু হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের আল আকসা অঞ্চলে।

সূত্র : আল-জাজিরা