গাজা যুদ্ধে ইসরায়েলকে আর্থিক ও সামরিক সহায়তা দেওয়া এবং জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থায় (ইউএনআরডব্লিউএ) অর্থ দেওয়া বন্ধ করার অভিযোগে জার্মানির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) মামলা করেছে নিকারাগুয়া। ১ মার্চ, শুক্রবার জাতিসংঘের শীর্ষ আদালত এই তথ্য জানিয়েছে।
ইসরায়েলে সামরিক সহায়তা বন্ধ করতে জার্মানির বিরুদ্ধে জরুরী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিশ্ব আদালত নামে পরিচিত আইসিজের প্রতি আবেদন করেছে নিকারাগুয়া। এছাড়া ইউএনআরডব্লিউএ এর তহবিলে অর্থায়ন বন্ধ করার যে সিদ্ধান্ত জার্মানি নিয়েছে, তা পরিবর্তন করে এটি পুনরায় চালু করার জন্যও বলা হয়েছে।
জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিকভাবে এই বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। বিশ্ব আদালত সাধারণত একটি মামলা দায়েরের কয়েক সপ্তাহের মধ্যে অনুরোধ করা জরুরি ব্যবস্থার উপর শুনানির জন্য একটি তারিখ নির্ধারণ করে থাকে।
নিকারাগুয়ার অভিযোগ, ১৯৪৮ সালের জেনোসাইড কনভেনশন এবং ১৯৪৯ সালের জেনেভা কনভেনশনে যুদ্ধের যেসব আইন রয়েছে জার্মানি তা লঙ্ঘন করছে।
নিকারাগুয়া মামলার আবেদনে বলেছে, ‘ইসরায়েলে সামরিক সরঞ্জাম পাঠানোর মাধ্যমে এবং বেসামরিক জনগণকে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানকারী ইউএনআরডব্লিউএ এর তহবিলে অর্থ দেওয়া বন্ধ করে জার্মানি গণহত্যাকে সহজতর করছে।’
জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ এর প্রধান দাতা দেশগুলোর মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং জার্মানি রয়েছে। তবে গত বছরের ৭ অক্টোবরে ইসরায়েলে হামাসের হামলায় এই সংস্থার ১২ জন কর্মীর জড়িত থাকার অভিযোগ করেছে ইসরায়েল। এই অভিযোগের পরে অর্থ দেওয়া বন্ধ করেছে দেশ দুটি।
মধ্য আমেরিকার এই দেশটি জানিয়েছে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান গণহত্যায় সহযোগিতা করার জন্য জার্মানির বিরুদ্ধে জরুরী ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজন রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ডিসেম্বরে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ করে আইসিজেতে একটি মামলা দায়ের করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। চলতি বছরের জানুয়ারিতে একটি অন্তর্বর্তীকালীন রায়ে তেল আবিবকে গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে এবং গাজার বেসামরিক নাগরিকদের মানবিক সহায়তা প্রদানের জন্য নিশ্চয়তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ব আদালত। তবে ইসরায়েল আদালতের নির্দেশকে উপেক্ষা করে গাজায় গণহত্যা অব্যাহত রেখেছে।
সূত্র: দ্য নিউ আরব