ইসরায়েলকে ১৪ বিলিয়ন ডলার সহায়তার বিল মার্কিন সিনেটে

গাজায় চার মাস ধরে নির্বিচার হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যাওয়া ইসরায়েলকে ফের আর্থিক সহায়তা দিতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন এ নিয়ে মার্কিন সিনেটে একটি বিল উত্থাপন করেছে। বিলে ইসরায়েলকে ১৪ বিলিয়ন ডলার সহায়তার প্রস্তাব রাখা হয়েছে। একইসঙ্গে ইউক্রেনকেও দেওয়া হচ্ছে সহায়তা। খবর আল জাজিরার।

মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে স্থানীয় সময় রবিবার ১১৮ বিলিয়ন ডলারের একটি বিল উত্থাপিত হয়েছে। বিলটিতে সীমান্ত নিরাপত্তা বৃদ্ধি এবং একইসঙ্গে ইসরায়েল ও ইউক্রেনের জন্য যুদ্ধকালীন সহায়তার প্রস্তাব করা হয়েছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং সিনেটে ডেমোক্র্যাটিক ও রিপাবলিকান নেতাদের একাংশ চান ইউক্রেনকে যুদ্ধকালীন সহায়তা পুনরায় সরবরাহ করতে। কিন্তু কিছুটা রক্ষণশীল রিপাবলিকানদের প্রতিরোধের সম্মুখীন হচ্ছেন তারা।

রক্ষণশীল রিপাবলিকানরা চাচ্ছেন, মেক্সিকো সীমান্তে অবৈধ অভিবাসীর ঢল মোকাবেলায় ব্যবস্থা নেওয়ায় জোর দিতে।

বাইডেন প্রশাসন এমন কৌশলে বিলটি উত্থাপন করেছেন, যাতে সহজেই ছাড় পেয়ে যায়। সিনেটে উত্থাপিত সহায়তা বিলের প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত নিরাপত্তার বিষয়টি ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে।

সিনেটে উত্থাপিত মোট ১১৮ বিলিয়ন ডলারের বিলটিতে ইসরায়েলের জন্য ১৪.১ বিলিয়ন ডলারের নিরাপত্তা সহায়তা প্রস্তাব করা হয়েছে । সেইসঙ্গে লোহিত সাগরে হুথিদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ২.৪৪ বিলিয়ন ডলার প্রস্তাব রাখা হয়েছে।

এছাড়া রাশিয়ার হামলার শিকার ইউক্রেনকে যুদ্ধে সহায়তায় জন্য ৬০ বিলিয়ন ডলার দেওয়ার প্রস্তাব রয়েছে। অন্যদিকে তাইওয়ানকে অস্ত্র সহায়তাবাবদ ৪.৮৩ বিলিয়ন ডলারের প্রস্তাব রাখা হয়েছে।

বিলে মার্কিন সীমান্ত নিরাপত্তায় ২০.২৩ বিলিয়ন ডলার প্রস্তাব রাখা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র অভিমুখে মেক্সিকো সীমান্ত পেরিয়ে অভিবাসীর ঢল থামাতেই এই ব্যয় ধরা হয়েছে। আগামী নির্বাচনে অবৈধ অভিবাসী ইস্যুই এবার বড় হয়ে দাঁড়াবে।

যদিও কট্টর রিপাবলিকানদের বরাবরের মতো বিরোধিতার কারণে বিলটির ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। এর আগে গত ডিসেম্বরেও ইউক্রেন ও ইসরায়েলের জন্যে একটি সহায়তা বিল মার্কিন সিনেটে আটকে গিয়েছিল।

সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠ ডেমোক্রেটিক নেতা চাক শুমার বলেন, আগামী বুধবার বিলটির ওপর প্রাথমিক ভোটের জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হবে। বিলটি আইনে পরিণত হলে সেটি যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত যেমন সুরক্ষিত করবে, তেমনি বিদেশে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা সুরক্ষিত হবে।