ইসরায়েলকে ২০০০ পাউন্ডের বোমা সরবরাহের অনুমতি ট্রাম্পের

ইসরায়েলকে দুই হাজার পাউন্ড ওজনের বোমা সরবরাহে সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে সামরিক বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতকাল শনিবার (২৫ জানুয়ারি) তিনি এ তথ্য জানান বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে রয়টার্স। 

ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, এই পদক্ষেপ প্রত্যাশিত ছিল। এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমরা আজ সেগুলো মুক্ত করেছি এবং তারা সেগুলো পাবে। তারা এগুলোর জন্য অর্থ প্রদান করেছে এবং দীর্ঘদিন ধরে এগুলোর অপেক্ষায় ছিল।’ 

গাজার রাফাসহ বেসামরিক জনগোষ্ঠীর ওপর এর প্রভাব নিয়ে উদ্বেগের কারণে বাইডেন এই বোমাগুলোর সরবরাহ স্থগিত করেছিলেন। একটি দুই হাজার পাউন্ডের বোমা পুরু কংক্রিট ও ধাতু ভেদ করতে পারে এবং এর বিস্ফোরণের পরিধি অনেক বড়।

গত বছর রয়টার্স জানিয়েছিল, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর থেকে বাইডেন প্রশাসন ইসরায়েলকে এই ধরনের হাজার হাজার বোমা সরবরাহ করেছে। তবে একটি চালানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল।

যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের জন্য কয়েক বিলিয়ন ডলারের সহায়তা ঘোষণা করেছে। কেন তিনি এই শক্তিশালী বোমাগুলো সরবরাহ করলেন, এই প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘কারণ তারা এগুলো কিনেছে।’

শনিবার ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে বলেন, ‘ইসরায়েল যে অনেক কিছু অর্ডার করেছিল এবং যার জন্য অর্থ দিয়েছিল, কিন্তু বাইডেন পাঠাননি, সেগুলো এখন পথে রয়েছে!’

ট্রাম্প ও বাইডেন উভয়ই যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র ইসরায়েলের শক্তিশালী সমর্থক, যদিও গাজায় ইসরায়েলের সামরিক আক্রমণে মানবিক সংকট নিয়ে ওয়াশিংটন সমালোচিত হয়েছে। মানবাধিকার কর্মীরা অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার দাবি জানিয়েছিলেন, তবে তা সফল হয়নি।

ওয়াশিংটন বলেছে, তারা ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে ইসরায়েলকে রক্ষা করতে সহায়তা করছে। এর মধ্যে গাজার হামাস, লেবাননের হিজবুল্লাহ ও ইয়েমেনের হুটি রয়েছে।

এক সপ্তাহ আগে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। যুদ্ধবিরতির সময় হামাসের হাতে আটক কিছু ইসরায়েলি বন্দির মুক্তি এবং ইসরায়েলে বন্দি থাকা কিছু ফিলিস্তিনির বিনিময় ঘটেছে।

ইসরায়েলের হামলায় গাজায় ৪৭ হাজার জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে বলে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে এবং এর ফলে গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ উঠেছে। যদিও ইসরায়েল এ বিষয়টি অস্বীকার করে। এ আক্রমণে প্রায় পুরো গাজার জনগোষ্ঠী বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং তীব্র খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *