
গাজায় যুদ্ধবিরতি এগিয়ে নেওয়ার উদ্বেগের মধ্যেই ইসরায়েলের কাছে ৩ বিলিয়ন ডলারের বোমা ও অস্ত্র বিক্রির চুক্তি সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। জরুরি ভিত্তিতে অস্ত্র বিক্রির বিষয়টি স্থানীয় সময় শুক্রবার বিকেলে কংগ্রেসকে জানিয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। খবর রয়টার্স ও ভয়েস অব আমেরিকার।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, পেন্টাগন ইসরায়েলের কাছে প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলার মূল্যের বোমা, বিধ্বংসী সরঞ্জাম এবং অন্যান্য অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে।
এই অনুমোদনের কথা কংগ্রেসে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেওয়ার আগে হাউস ফরেন অ্যাফেয়ার্স এবং সিনেট ফরেন রিলেশনস কমিটিতে পর্যালোচনা করার নিয়ম থাকলেও সেটি মানা হয়নি। এক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়েছে ‘জরুরি পরিস্থিতি’র সুযোগ।
ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র বিক্রি করতে ট্রাম্প প্রশাসন চলতি মাসে এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ‘জরুরি পরিস্থিতি’ ঘোষণা করেছে। সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনও কংগ্রেসের পর্যালোচনা ছাড়াই ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র বিক্রি অনুমোদনের জন্য জরুরি কর্তৃপক্ষকে ব্যবহার করেছে।
চুক্তির আওতায় ৩৫ হাজার ৫২৯টি ২০০০ পাউন্ড ওজনের বোমা, যা দিয়ে সাধারণ-উদ্দেশ্য অর্থাৎ হামলা চালানো হবে এবং ৪ হাজার বাঙ্কার-বিধ্বংসী বোমা রয়েছে, যা জেনারেল ডায়নামিকসের বানানো।
পেন্টাগন জানিয়েছে, বোমার এই প্যাকেজটি ২০২৬ সালে সরবরাহ করা হবে। এই বোমার একটি অংশ মার্কিন মজুদ থেকে তাৎক্ষণিক সরবরাহ করার সম্ভাবনা রয়েছে।
এছাড়া দ্বিতীয় প্যাকেজে ৬৭৫ মিলিয়ন ডলার মূল্যের ৫ হাজার ১০০০ পাউন্ড ওজনের বোমা এবং গাইডেড বোমাগুলোকে পরিচালনায় সহায়তার জন্য সংশ্লিষ্ট কিট রয়েছে। এই প্যাকেজ ২০২৮ সালে সরবরাহ করার কথা।
যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া এসব বোমা ইসরায়েল মূলত গাজা যুদ্ধে ব্যবহার করছে। দীর্ঘ ১৫ মাস যুদ্ধের পর গত মাসে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছে। এই চুক্তির আওতায় যুদ্ধের স্থায়ী সমাপ্তির লক্ষ্যে আলোচনার মধ্যেই ট্রাম্প প্রশাসন নতুন করে ইসরায়েলকে অস্ত্র দিচ্ছে।
যুদ্ধবিরতির আওতায় প্রথম ধাপে গাজায় আটক ৪৪ জন ইসরায়েলি জিম্মি এবং ইসরায়েলের হাতে আটক প্রায় ২০০০ ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেওয়া হয়।