![](https://poygam24.com/wp-content/uploads/2023/12/israel-rally.jpg)
অবিলম্বে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের কাছে যুদ্ধ বন্ধের দাবি জানিয়েছেন ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের হাতে বন্দী থাকা জিম্মিদের পরিবারের লোকজন। গাজায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তিনজন জিম্মিকে ভুলবশত হত্যা করার কথা স্বীকার করার পর জিম্মি পরিবারের সদস্যদের এক বিক্ষোভ থেকে এ আহ্বান জানানো হয়। খবর আনাদোলু।
হামাসের হাতে জিম্মি হাইম পেরির মেয়ে নোয়াম পেরি বলেন, আমরা চাই আপনারা লড়াই বন্ধ করুন এবং আলোচনা শুরু করুন। নইলে আমাদেরকে কেবল আমাদের স্বজনদের মরদেহই গ্রহণ করতে হবে।
গাজায় আটক থাকা ১৯ বছর বয়সী ইসরায়েলি সৈনিক ইতাইয়ের বাবা রুবি চেন বলেন, আমাদের মনে হচ্ছে আমরা কোনো লুকোচুরির খেলায় আছি। প্রথমে বলা হয়েছিল, গাজায় স্থল অভিযানের মাধ্যমে আমাদের প্রিয়জনদের ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এর কোনো কার্যকারিতা দেখা যায়নি। এ অভিযানের মাধ্যমে তারা হামাসের হাতে আটক কাউকে ফেরত আনতে পারেনি। তাই এই কৌশল পরিবর্তন করতে হবে।
গত শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হাতেই নিহত হয় হামাসের হাতে জিম্মি তিন ইসরায়েলি। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী স্বীকার করেছে, তাদের ভুলের কারণেই এই তিন জিম্মির মৃত্যু হয়।
ইসরায়েলের সামরিক কর্মকর্তা জানান, গাজায় হামলা চালাতে গিয়ে খালি গায়ের কয়েকজনকে দেখে নিজেদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে মনে করেন তারা। ফলে তাদের ওপর গুলি চালালে প্রথমেই দুজন নিহত হয়। পরে আরেক দফা গুলি চালালে আরেকজন নিহত হয়। পরে তাদের কাছে গিয়ে দেখা যায়, নিহতদের সঙ্গে সাদা পতাকা ছিল।
জানা গেছে, নিহত জিম্মিদের মধ্যে ইয়োতাম হাইম ও অ্যালন শামরিজকে কিবুতজ কাফার আজা থেকে ধরে আটক করেছিল হামাস। অন্যদিকে সামের আল-তালালকাকে আটক করা হয়েছিল কিবুতজ নির আম থেকে।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের অতর্কিতে হামলায় ইসরায়েলি সেনাসহ এক হাজার ২০০ জন নিহত হয়। সে সময় হামাস আড়াই শতাধিক ইসরায়েলি নাগরিককে আটক করে নিয়ে আসে। গত নভেম্বরের শেষের দিকে সাতদিনের যুদ্ধবিরতির সময় বেশ কিছু জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হলেও হামাসের হাতে শতাধিক জিম্মি রয়ে গেছে। এই জিম্মিদের উদ্ধার করা ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর গাজায় হামলার অন্যতম প্রধান লক্ষ্য বলে জানানো হয়েছে।