ইসরায়েলি গুপ্তচর সন্দেহে অস্ত্রধারী এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে মালয়েশিয়া। কুয়ালা লামপুরের একটি হোটেল থেকে শুক্রবার (২৯ মার্চ) তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার ইসরায়েলি পাসপোর্ট জব্দ করা হয়েছে। খবর রয়টার্স ও টিআরটি ওয়ার্ল্ডের।
মালয়েশিয়ার পুলিশ জানিয়েছে, ইসরায়েলি পাসপোর্টধারী ৩৬ বছরের ওই ব্যক্তি গত ১২ মার্চ কুয়ালালামপুরে আসেন। তিনি সেদিন আরব আমিরাত থেকে কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন।
এক সংবাদ সম্মেলনে মালয়েশিয়ার পুলিশ মহাপরিদর্শক রাজারুদ্দিন হোসেন বলেন, ওই ব্যক্তিকে একটি হোটেলে ছয়টি বন্দুক ও ২০০ রাউন্ড গুলিসহ আটক করা হয়েছে। তার কাছে একটি ফরাসি পাসপোর্ট পাওয়া গেছে, যেটি জাল।
পুলিশের আইজি রাজারুদিন জানান, শুক্রবার আটকের পর তার ইসরায়েলি পাসপোর্টও জব্দ করেছে পুলিশ। তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
রাজারুদিন বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই ব্যক্তি পুলিশকে জানিয়েছে, পারিবারিক বিরোধের জের ধরে আরেক ইসরায়েলি নাগরিককে মারতেই মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করেছে সে। তবে পুলিশের সন্দেহ ওই ব্যক্তি ইসরায়েলি গোয়েন্দাদের সদস্য। তার পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডসহ অন্য কোনো এজেন্ডা থাকতে পারে।
ইসরায়েলি পাসপোর্টধারী ওই ব্যক্তি কুয়ালালামপুরের হোটেলে বসে এত অস্ত্র ও গুলি কীভাবে পেল, সেটি খতিয়ে দেখছে মালয়েশিয়ার পুলিশ। সন্দেহ করা হচ্ছে, মালয়েশিয়ায় এসে ওই অস্ত্রগুলো কিনেছে সে এবং ক্রিপ্টো কারেন্সিতে অর্থ পরিশোধ করেছে।
পুলিশপ্রধান জানান, অস্ত্রধারী ওই ইসরায়েলি গ্রেপ্তার হওয়ার ঘটনায় মালয়েশিয়ার রাজা ও প্রধানমন্ত্রীসহ উচ্চপর্যায়ের ব্যক্তিত্বদের জন্য নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
মালয়েশিয়া একটি সংখ্যাগরিষ্ঠ-মুসলিম দেশ হিসেবে ফিলিস্তিনের সমর্থক এবং গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধের কট্টর সমালোচক। ইসরায়েলের সঙ্গে কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই মালয়েশিয়ার। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার মতে, মালয়েশিয়ায় বর্তমানে প্রায় ৬০০ ফিলিস্তিনি শরণার্থী রয়েছে।
এর আগে কুয়ালালামপুরে ২০১৮ সালে একজন ফিলিস্তিনি বিজ্ঞানীকে গুলি করে হত্যা করেছিল দুই অজ্ঞাতপরিচয় বন্দুকধারী। মালয়েশিয়ার সন্দেহ, ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ পরিকল্পনা করেই গাজার হামাস সংশ্লিষ্ট ওই ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে।