![](https://poygam24.com/wp-content/uploads/2024/06/6-1-1.jpg1-20240608112420-1.jpg)
ফিলিস্তিনের গাজায় হাজার হাজার শিশু নিহতের ঘটনায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীকে (আইডিএফ) কালো তালিকাভুক্ত করেছে জাতিসংঘ। বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত গিলাড এরদান। তবে এক এক্সে পোস্টে জাতিসংঘের এই পদক্ষেপকে ‘লজ্জাজনক’ বলে অভিহিত করেছেন গিলাদ। খবর বিবিসি ও আল জাজিরার।
গাজায় গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। গত আট মাসের হামলায় এ পর্যন্ত ৩৬ হাজার ৭৩১ জন নিহত এবং ৮৩ হাজার ৫৩০ জন আহত হয়েছেন। এছাড়াও বোমা হামলায় বিধ্বস্ত ঘরবাড়ির ধ্বংসস্তুপে চাপা পড়ে রয়েছেন আরও ১০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। হতাহতদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু।
এরইধ্যে শুক্রবার এক বিবৃতিতে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানিয়েছে, গাজায় নিহতদের মধ্যে ১৫ হাজার ৫০০ জনের বেশি শিশু। এছাড়াও গত আট মাসে হামলায় হাত-পা হারিয়ে পঙ্গু হয়েছে অন্তত ৩ হাজার শিশু।
গাজা উপত্যকায় শিশুদের ওপর এমন বর্বর হামলার কারণে দখলদার ইসরায়েলি সেনাবিহনীকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে জাতিসংঘ। কালো তালিকাভুক্তির বিষয়টি আগামী সপ্তাহে নিরাপত্তা পরিষদের এক প্রতিবেদনে পেশ করা হবে। বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবেই ইসরায়েল জানানো হয়েছে।
এদিকে জাতিসংঘের এমন সিদ্ধান্তে ক্ষেপে গেছে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর প্রশাসন। জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত গিলাড এরদান এক্সে এক পোস্টে বলেন, জাতিসংঘের এই পদক্ষেপ ‘লজ্জাজনক’।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, হামাসকে সমর্থন জানিয়ে জাতিসংঘ ইসরায়েলকে নয়, নিজেকে ইতিহাসের কালো তালিকাভুক্ত করেছে।
এদিকে জাতিসংঘের সিদ্ধান্তে সন্তোষ প্রকাশ করেছেনফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। তিনি বলেন, আরও অনেক আগেই ইসরায়েলকে কালো তালিকাভুক্ত করা উচিত ছিল।