উত্তর সিরিয়ার আলেপ্পো শহরে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর পাঁচ সদস্যসহ ৩৮ জন নিহত হয়েছেন। দুটি নিরাপত্তা সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। শুক্রবার (২৯ মার্চ) ভোরে এ হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছেন বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, আলেপ্পোতে ইসরাইল ও জঙ্গি গোষ্ঠীর হামলার পর বেশ কয়েকজন বেসামরিক ও সামরিক কর্মী নিহত হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় রাত ১টা ৪৫ মিনিটে আলেপ্পোর গ্রামাঞ্চলের বেশ কয়েকটি এলাকা লক্ষ্য করে ইসরায়েলি বিমান হামলা চালায়।
বিমান হামলাটি ইদলিব এবং পশ্চিমাঞ্চলীয় আলেপ্পো থেকে পরিচালিত ড্রোন হামলার সঙ্গে মিলে যায়, যেটি আলেপ্পো এবং এর আশেপাশের বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ দ্বারা পরিচালিত বলে বর্ণনা করেছে মন্ত্রণালয়।
তবে মন্ত্রণালয় সুনির্দিষ্টভাবে মৃতের সংখ্যা উল্লেখ করেনি এবং এটিও স্পষ্ট করেনি যে ইসরায়েল বিমান হামলা চালিয়েছে নাকি জঙ্গি গোষ্ঠী এই হামলা করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আগ্রাসনের ফলে অনেক বেসামরিক ও সামরিক কর্মী শহীদ ও আহত হয়েছে এবং সরকারি ও ব্যক্তিগত সম্পত্তির ক্ষতিসাধন হয়েছে। ’
এ ঘটনায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
এদিকে, ব্রিটেনভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর অধীনে থাকা একটি রকেট ডিপোর কাছে এই হামলা চালানো হয়।
সংস্থাটি জানায়, ইসরায়েলের হামলায় অন্তত ৩৬ জন নিহত হওয়ার পাশাপাশি কয়েক ডজন আহত হয়েছেন। সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা জানিয়েছে, ভোরের আগে চালানো হামলায় বেসামরিক মানুষ ও সামরিক কর্মী নিহত ও আহত হয়েছেন।
এর আগে, মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে বিমান হামলায় ১৩ জন নিহত হন। তাদের মধ্যে ইরানপন্থি অন্তত ৯ জনসহ একজন কমান্ডার ছিলেন।
সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছিল, হামলায় ইরানপন্থি নয় যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন আইআরজিসির কমান্ডার রয়েছেন।
একটি উপত্যকায় তাদের লক্ষ্য করে হামলাটি চালানো হয় বলে জানিয়েছিল সংস্থাটি। সিরিয়ায় গত কয়েক বছর ধরেই হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। কিন্তু কখনই তারা এসব হামলার দায় স্বীকার করে না।