ইসরায়েলের সংকটে মজা নিচ্ছে ইরান, হিজবুল্লাহ ও হামাস!

আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ইয়োসি ইয়োশুয়া বলেছেন, ইসরায়েল বর্তমানে যে রাজনৈতিক সংকটে পড়েছে, তাতে ইরান, হিজবুল্লাহ, হামাসসহ আরও অনেকেই আনন্দ পাচ্ছে। ইসরায়েলের সংকটে তারা মজা নিচ্ছে। খবর মিডলইস্ট মনিটর।

ইসরায়েল নিজের পায়ে কুড়াল মারছে উল্লেখ করে ইয়োশুয়া এক টুইট বার্তায় বলেন, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আলি খামেনি, হিজবুল্লাহ মহাসচিব হাসান নাসরুল্লাহ, হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার, আল কাসান ব্রিগেডের কমান্ডার ইন চিফ মুহাম্মদ আল দেইফ- এরা সবাই আজ ইসরায়েলের রাজনৈতিক সংকটে আনন্দিত।

কয়েকদিন আগে ইসরায়েলের সাবেক নিরাপত্তা মন্ত্রী অ্যাভিগডর লিবারম্যান বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু হিজবুল্লাহর মহাসচিব সাইয়েদ হাসান নাসরুল্লাহ এবং হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ারের সামনে খরগোশের মতো আচরণ করছেন। এর মাধ্যমে তিনি ইসরায়েলের প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে তুলছেন।

অন্যদিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর অপারেশনস ডিরেক্টরেটের সাবেক প্রধান মেজর জেনারেল ইসরায়েল জিভ বলেছেন, নিরাপত্তা সমস্যা এবং সাম্প্রতিক দিনগুলোতে সেনাবাহিনীতে রিজার্ভ ইউনিটগুলোতে অভ্যন্তরীণ ভাঙ্গণ এমন একটি বড় সংকট তৈরি করেছে, যে সংকটের মুখে ইসরায়েল আগে আর কখনো পড়েনি, এমনকি ১৯৭৩ সালের অক্টোবরে ইয়োম কিপপুর যুদ্ধের সময়ও নয়।

চ্যানেল ১২ কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জিভ বলেন, ইসরায়েল এখন একটি অত্যন্ত গুরুতর জাতীয় নিরাপত্তা সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।

হিজবুল্লাহর সেক্রেটারি-জেনারেল হাসান নাসরুল্লাহ বলেছেন, আজ ইসরায়েল যেমন সংকটের মুখে পড়েছে, তার ইতিহাসজুড়ে এত হতাশা ও দুর্বলতা দেখা যায়নি। অবস্থা দেখে বোঝা যাচ্ছে, তাদের সময় শেষ হয়ে এসেছে।

সম্প্রতি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর আনা সংস্কার প্রস্তাবের বিরোধিতায় সরব হয়েছে পুরো দেশ। সরকারপন্থীরা বলছে, এ আইনের মাধ্যমে বিচার বিভাগ ও আইন বিভাগের মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য আসবে। তবে বিরোধিতাকারীরা বলছেন, এর মাধ্যমে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা পুরোপুরি আইন বিভাগের হাতে চলে যাবে।

বিষয়টি নিয়ে দুই মাস ধরে দেশটিতে ব্যাপক বিক্ষোভ চলছে। এতে লাখ লাখ লোক যুক্ত হচ্ছে। ক্রমেই দেশের সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন বিভাগ আন্দোলনের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে কর্মবিরতি পালন করছে।