![](https://poygam24.com/wp-content/uploads/2024/01/image-257786-1704217163bdjournal-1.jpg)
হামাস জিম্মি-বন্দী বিনিময় চুক্তিতে ইসরায়েলের সঙ্গে আলোচনা স্থগিত করতে মধ্যস্থতাকারীদের অনুরোধ করেছে বলে জানা গেছে। ২ জানুয়ারি, মঙ্গলবার লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ইসরায়েলের ড্রোন হামলায় নিহত হন হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতা সালেহ আল-আরুরি। এরপর এই আলোচনা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফিলিস্তিনি এই গোষ্ঠী।
ফিলিস্তিনি এবং ইসরায়েলি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, হামাস মধ্যস্থতাকারী পক্ষগুলোকে আলোচনা বন্ধ করার জন্য বলেছে। এই আলোচনার সঙ্গে পরিচিত একটি সূত্র নিউজ ওয়েবসাইট আল আরাবি আল জাদিদকে জানিয়েছে, আরুরি হত্যাকাণ্ডের পর মিশর তার মধ্যস্থতা প্রচেষ্টা স্থগিত করেছে। একটি নতুন জিম্মি-বন্দী বিনিময় চুক্তি করার জন্য বর্তমানে কায়রোতে একটি ইসরায়েলি প্রতিনিধিদল অবস্থান করছে। কিন্তু তাদের আলোচনা মাঝপথে বন্ধ হয়ে যায়।
আরুরির হত্যাকাণ্ড এবং এর পরিণতি সম্ভবত একটি নতুন জিম্মি-বন্দী বিনিময় চুক্তি হওয়ার আশায় একটি বড় ধাক্কা দেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অবশ্য ইসরায়েলি কর্মকর্তারা বলেছেন, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে এই চুক্তির নতুন দফা আলোচনায় অগ্রগতি হয়েছে। তবে জিম্মিদের এখনও মুক্ত করতে না পারায় নিজ দেশে ব্যাপক সমালোচনার মুখে রয়েছেন ইসরায়েলি নেতারা।
৭ অক্টোবর হামাস দক্ষিণ ইসরায়েলে হামলা করে ২৪০ জন ইসরায়েলি এবং বিদেশি নাগরিককে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায়। এরপর গাজার যুদ্ধে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে বেশ কয়েকজন জিম্মি নিহত হয়। এছাড়া ২৪ থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ১ সপ্তাহের সাময়িক যুদ্ধবিরতির সময় ২৪০ জন ফিলিস্তিনি বন্দীর বিনিময়ে ৭৮ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল।
সূত্র: দ্য নিউ আরব