ইসরায়েলের হামলায় হিজবুল্লাহর সিনিয়র কমান্ডার নিহত

দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় হিজবুল্লাহর সিনিয়র কমান্ডার উইসাম আল-তাবিল নিহত হয়েছেন। এর ফলে একটি বিস্তৃত আঞ্চলিক সংঘাত বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। ৮ জানুয়ারি, সোমবার এই হামলার ঘটনা ঘটেছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলেছে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ৩ জন নিরাপত্তা কর্মকর্তা এই তথ্য জানিয়েছেন। তাবিল ছাড়াও হিজবুল্লাহর আরেক জন যোদ্ধাও এই হামলায় নিহত হয়েছেন। লেবাননের মাজদাল সেলম গ্রামে এই দুজনের গাড়ি লক্ষ্য করে ইসরায়েল বিমান হামলা চালিয়েছিল।

তাবিল হিজবুল্লাহর অভিজাত রাদওয়ান ফোর্সের একটি ইউনিটের উপপ্রধান ছিলেন। তিনি জাওয়াদ নামেও পরিচিত ছিলেন। তিনি ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সঙ্গে হিজবুল্লাহর সাম্প্রতিক সংঘর্ষে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।

একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা এটিকে বেদনাদায়ক একটি ঘটনা বলে উল্লেখ করেছেন। আরেকজন কর্মকর্তা বলেছেন, এর ফলে এই অঞ্চলে সহিংসতা আরও বেড়ে যাবে।

এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, নিহত এই কমান্ডার দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহর কার্যক্রম পরিচালনায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন।

ইরানপন্থী হিজবুল্লাহও এক বিবৃতিতে তাবিলের মৃত্যুর কথা স্বীকার করেছে। লেবাননের সশস্ত্র এই গোষ্ঠীটি হিজবুল্লাহর অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তা এবং নিহত ইরানি জেনারেল কাসেম সোলাইমানির সঙ্গে তার ছবি প্রকাশ করেছে। সোলেইমানি ২০২০ সালের জানুয়ারিতে মার্কিন ড্রোন হামলায় ইরাকের রাজধানী বাগদাদে নিহত হয়েছিলেন।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকায় সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। পাশাপাশি দক্ষিণ লেবানন সীমান্তেও হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে ইসরায়েলি বাহিনী। ইসরায়েলি বোমা হামলায় লেবাননে শত শত মানুষ নিহত হয়েছে।

এর আগে ২ জানুয়ারি লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় নিহত হয়েছিলেন হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতা সালেহ আল-আরুরি। ৬ জানুয়ারী, হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, আরুরি হত্যার প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া হিসাবে ইসরায়েলের একটি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক পোস্টকে লক্ষ্যবস্তু করে রকেট হামলা করা হয়েছে।

সূত্র: মিডল ইস্ট আই, সিএনএন