ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের মধ্যে শান্তি আলোচনার ডাক জর্ডানের 

ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে একটি ‘রাজনৈতিক-নিরাপত্তা’ বৈঠকের আয়োজন করবে জর্ডান। ২৬ ফেব্রুয়ারি, রোববার এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন জর্ডানের একজন সরকারি কর্মকর্তা। খবর এএফপি

জর্ডানের বন্দর নগরী আকাবার রেড সি রিসোর্টে অনুষ্ঠিতব্য এই বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র ও মিশরীয় প্রতিনিধিরাও উপস্থিত থাকবেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে শনিবার সরকারি ওই কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনিদের মধ্যে বিশ্বাস তৈরি করা এই বৈঠকের লক্ষ্য।

তিনি বলেছেন, ‘রাজনৈতিক-নিরাপত্তা বৈঠকটি ফিলিস্তিনি এবং ইসরায়েলিদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা প্রশমন করতে জর্ডানি প্রচেষ্টার অংশ। এ ধরনের উদ্যোগ না নিলে অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে আরও সহিংসতা বাড়াতে পারে।’

তিনি উল্লেখ করেন, এই আলোচনার লক্ষ্য ফিলিস্তিনি জনগণের কষ্ট লাঘবের জন্য নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

২২ ফেব্রুয়ারি, বুধবার ইসরায়েলি সেনাবাহিনী পশ্চিম তীরের নাবলুসে অভিযান চালিয়ে ১১ জন ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যা করে। নৃশংস এই ঘটনায় ৮০ জন ফিলিস্তিনি আহত হন বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এর ফলে অধিকৃত অঞ্চলে ইসরায়েলি এবং ফিলিস্তিনিদের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে উভয় পক্ষের মধ্যে শান্তি আলোচনার আয়োজন করতে চায় জর্ডান।

জানুয়ারিতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জর্ডানের বাদশা দ্বিতীয় আবদুল্লাহর সঙ্গে বৈঠকের জন্য আম্মান সফর করেছিলেন। সে সময় বাদশা আবদুল্লাহ শান্তি বজায় রাখতে সকল সহিংসতা বন্ধ করার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছিলেন।

এছাড়া ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে কয়েক দশকের পুরনো সংঘাত দূর করতে দুই রাষ্ট্র সমাধানের প্রতি জর্ডানের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছিলেন বাদশা।

মিশরের মতো জর্ডানও ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তি চুক্তি করেছে। এছাড়া ২০২০ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, মরক্কো এবং সুদানও ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করেছে।