ইসরায়েলি কারাগার থেকে আরও ৩৯ ফিলিস্তিনি মুক্তি পেলেন

ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন আরও ৩৯ ফিলিস্তিনি বন্দি। হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে হওয়া চার দিনের যুদ্ধবিরতির চুক্তির অংশ হিসেবে গতকাল রোববার দ্বিতীয় দফায় এ ৩৯ ফিলিস্তিনিকে কারাগার থেকে ছেড়ে দেয়া হয়। এর আগে দ্বিতীয় ব্যাচে ১৩ ইসরায়েলিসহ আরও ১৭ বন্দির মুক্তি দিয়েছিল হামাস।

ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র প্রতিরোধ গোষ্ঠী হামাসের মধ্যে বন্দি বিনিময় চুক্তির দ্বিতীয় ব্যাচের অংশ হিসেবে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ রোববার ইসরায়েলের কারাগার থেকে ছয় নারী এবং ৩৩ জন নাবালকসহ ৩৯ ফিলিস্তিনির মুক্তি দিয়েছে। এর আগে শনিবার ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব রেড ক্রসের (আইসিআরসি) সমন্বয়ে গাজা থেকে ১৩ ইসরায়েলি এবং চার বিদেশিকে মুক্তি দেয়া হয়।

ফিলিস্তিনের সরকারি বার্তাসংস্থা ওয়াফা অনুসারে, মুক্তি পাওয়ার পর ৩৪ ফিলিস্তিনি বন্দিকে আইসিআরসির একটি বাস ইসরায়েলি ওফার কারাগার থেকে পশ্চিম তীরের মধ্যাঞ্চলীয় আল-বিরহে নিয়ে যায়।

ওয়াফা জানিয়েছে, এ সময় বন্দিদের মুক্তি উদ্‌যাপন করতে আল-বিরহ পৌরসভা চত্বরে শত শত ফিলিস্তিনি জড়ো হয়েছিলেন। এ ছাড়া অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমের বাসিন্দা বাকি পাঁচ বন্দিকে আল-মাসকুবিয়াহ কারাগার থেকে মুক্তি দেয়া হয়। সেখানে পরিবার তাদের গ্রহণ করে।
এর আগে হামাস শুক্রবার চার দিনের মানবিক বিরতির প্রথম দিনে ইসরায়েলের কারাগার থেকে ৩৯ ফিলিস্তিনির মুক্তি নিশ্চিত করে এবং বিনিময়ে ২৪ ইসরায়েলি ও বিদেশি বন্দিকে মুক্তি দেয়। এরপর শনিবার ইসরায়েলের ১৩ বন্দিসহ আরও ১৭ বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র এ গোষ্ঠীটি। মুক্তি পাওয়া অন্য চার বন্দি থাইল্যান্ডের নাগরিক।

যদিও দ্বিতীয় দফায় এ মুক্তি নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল। তবে বেশ কয়েক ঘণ্টার বিলম্বের পর ওই ১৭ জনকে মুক্তি দেয় হামাস। ইসরায়েল চলমান যুদ্ধবিরতির একটি শর্ত লঙ্ঘন করেছে বলে হামাস অভিযোগ তোলার পর বন্দি মুক্তিতে ওই বিলম্ব হয়।

তবে এই বৈরিতা শনিবার কাতার এবং মিসরের মধ্যস্থতায় সমাধান করা হয়। চুক্তি অনুযায়ী, হামাস বন্দি মুক্তি দেয়ায় দ্বিতীয় ব্যাচে ইসরায়েল থেকে ৩৯ ফিলিস্তিনি বন্দির মুক্তি পাওয়া বাকি ছিল। রোববার তাদেরই মূলত মুক্তি দেয়া হলো।