ইহুদিবিরোধী পোস্ট রাখার অভিযোগে টুইটারের বিরুদ্ধে মামলা 

ইহুদিবিরোধী পোস্ট রাখার অভিযোগে মাইক্রো ব্লগিং সাইট টুইটারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে জার্মানির দুটি দল। ঘৃণামূলক বক্তব্য বিরোধী সংস্থা ‘হেইট এইড’ ও ইহুদি ছাত্রদের ইউরোপীয় দল এই মামলা করে। দুটি দল জানিয়েছে, ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের ওপর আক্রমণ এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে গণহত্যার ঘটনা অস্বীকার-সম্পর্কিত ছয়টি পোস্ট প্ল্যাটফর্ম থেকে সরায়নি টুইটার কর্তৃপক্ষ। 

বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, এসব পোস্ট টুইটার প্ল্যাটফর্মে প্রকাশ পেয়েছে ইলন মাস্কের টুইটার অধিগ্রহণের পর। আনুষ্ঠানিকভাবে এ নিয়ে এখনো কিছুই জানায়নি টুইটার। ইহুদিবিরোধী মনোভাব প্রকাশ ও গণহত্যার ঘটনাকে অস্বীকার করা জার্মানিতে অবৈধ। এমনকি টুইটারের নিজস্ব শর্তাবলিও লঙ্ঘন করে এটি। 

গত ২ ডিসেম্বর দুটি পর্যবেক্ষক গোষ্ঠী একটি গবেষণা প্রকাশ করে। সেন্টার ফর কাউন্টারিং ডিজিটাল হেইট এবং অ্যান্টি-ডিফেমেশন লিগ উভয়ই তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, মাস্ক টুইটারের নেতৃত্ব নেওয়ার পর থেকে টুইটারে ঘৃণা ছড়ানো বক্তব্যের পরিমাণ নাটকীয়ভাবে বেড়েছে। সেন্টার ফর কাউন্টারিং ডিজিটাল হেইট জানায়, এই সময়টায় টুইটারে বর্ণবাদী শব্দের দৈনিক ব্যবহার চলতি বছরের গড়ের চেয়ে তিনগুণ বেড়েছে। এ ছাড়া, সমকামী ব্যক্তি এবং ট্রান্সজেন্ডারদের বিরুদ্ধে অপমানজনক বাক্যের ব্যবহারও যথাক্রমে ৫৮ এবং ৬২ শতাংশ বেড়েছে। 

অ্যান্টি-ডিফেমেশন লিগ একটি পৃথক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, তাদের তথ্যানুযায়ী টুইটারে ইহুদিবিরোধী কার্যকলাপ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এসবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হারও কমেছে। উভয় গ্রুপই বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী যোগাযোগ প্ল্যাটফর্ম টুইটারে ঘটে যাওয়া কার্যকলাপ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। অ্যান্টি-ডিফেমেশন লিগ এই অবস্থাকে একটি ‘সংকটজনক পরিস্থিতি’ হিসেবে আখ্যায়িত করে। এসব ঘৃণা ছড়ানো পোস্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার দায়িত্বে থাকা কর্মীদের ছাঁটাই করার ফলে এই পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটবে বলেও আশঙ্কা করে গোষ্ঠীটি।