ইয়েমেন উপকূলে এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় ইসরাইলি জাহাজ আটক

ইয়েমেন উপকূলে এডেন সাগর থেকে ইসরাইলি মালিকানাধীন আরেকটি জাহাজ আটক হয়েছে বলে খবর দিয়েছে মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি।

সরাইলের ধনকুবের এইয়াল অফারের মালিকানাধীন জোডিয়াক গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে থাকা জোডিয়াক মেরিটাইম শিপ ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি জানিয়েছে, ‘সেন্ট্রাল পার্ক’ নামে তাদের একটি ট্যাংকার ইয়েমেন উপকূলে ‘ছিনতাই’ হয়েছে।

লন্ডনভিত্তিক জোডিয়াক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তাদের জাহাজটিতে ২২ জন ক্রু রয়েছে এবং তারা তাদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত। জাহাজটি একজন তুর্কি ক্যাপ্টেনের অধীনে চলছিল এবং এর ক্রুরা রাশিয়া, ভিয়েতনাম, বুলগেরিয়া, ভারত, জর্জিয়া ও ফিলিপাইনের নাগরিক। জাহাজটিতে ফসফরিক এসিড বোঝাই রয়েছে বলে কোম্পানিটি জানিয়েছে।

গ্লোবাল মেরিটাইম রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি- অ্যাম্ব্রে জানিয়েছে, মার্কিন নৌবাহিনী ওই এলাকায় অভিযান চালানোর চেষ্টা করছে এবং অন্যান্য জাহাজকে ওই এলাকা থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানিয়েছে।

তবে এখনো এটা পরিষ্কার নয় যে- কারা জাহাজটি আটক করেছে। কেউ এর দায়িত্বও স্বীকার করেনি। ইয়েমেনের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ইয়াহিয়া সরিয়ি সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ শুধু একটি শব্দের একটি পোস্ট দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন জেডআইএম।

ইয়েমেনের রাজধানী এডেনে সৌদিপন্থী সরকার ক্ষমতায় থাকলেও দেশটির বিশাল এলাকা হাউসি আনসারুল্লাহ যোদ্ধাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। হাউসি যোদ্ধারা গাজায় ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের প্রতি একাত্মতা ঘোষণা করে তাদের সাথে চলমান যুদ্ধে যোগ দিয়েছে।

হাউসি আন্দোলন বলেছে, ইয়েমেন উপকূল দিয়ে চলাচলকারী প্রতিটি ইসরাইলি জাহাজ হবে তাদের বৈধ টার্গেট।

অ্যাম্ব্রে জানিয়েছে, ‘ছিনতাইকারীরা’ সেন্ট্রাল পার্ক জাহাজটিকে ইয়েমেনের হুদায়দা বন্দরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়ে বলেছে, এটি সেদিকে না গেলে জাহাজটির ওপর হামলা করা হবে।

এর আগে গত শুক্রবার ভারত মহাসাগরে ইসরাইলি মালিকানাধীন একটি বাণিজ্যিক জাহাজে ড্রোন হামলা হয়েছে। তারও আগে গত ১৯ নভেম্বর লোহিত সাগর থেকে হাউসি যোদ্ধারা ইসরাইলি মালিকানাধীন গ্যালাক্সি লিডার নামক গাড়ি পরিবহনকারী একটি জাহাজ আটক করে। জাহাজটি এবং এর ৫২ জন ক্রুর সবাই এখনো ইয়েমেনের হুদায়দা বন্দরে আটক রয়েছে। ইসরাইল ওই ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

এর আগে ইরান হুমকি দিয়ে বলেছিল যে- ইসরাইলি সেনারা গাজা উপত্যকার ওপর পাশবিক আগ্রাসন বন্ধ না করলে এই যুদ্ধ মধ্যপ্রাচ্যব্যাপী ছড়িয়ে পড়বে।
সূত্র : এপি