ঈদুল ফিতরের আগে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে মাংসের বাজার। গরু-খাসিসহ সবধরণের মাংসের দাম বেড়েছে। ব্রয়লার মুরগির দাম প্রতি কেজি ২৫০ টাকা ছাড়িয়ে গেছে, সোনালি মুরগির দামও বাড়তির দিকে। কেজিপ্রতি গরুর মাংস ৮০০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে।খাসির মাংস কোথাও কোথাও কেজিপ্রতি ১ হাজার ২০০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে।
বুধবার (১০ এপ্রিল) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, রামপুরা, বাড্ডা, মালিবাগ, মিরপুর, হাতিরপুলসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২৫০ থেকে ২৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সোনালি মুরগির দাম এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিপ্রত সর্বোচ্চ ৩৭০ টাকায় পৌঁছেছে।
প্রান্তিক খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএ) সভাপতি সুমন হাওলাদার বলেন, করপোরেট গ্রুপগুলোর সৃষ্ট কৃত্রিম সংকটের ফলে মুরগির বাচ্চা কিনতে না পেরে উৎপাদন বন্ধ করে দিচ্ছেন প্রান্তিক খামারিরা। এখন মুরগির বাজার করপোরেট গ্রুপগুলোর দখলে, বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে তারাই। ফলে বাজারে মুরগির দাম বাড়বে এটাই স্বাভাবিক।
মালিবাগ বাজারে ক্রেতা সাইফুল ইসলাম জানান, রমজান মাসজুড়ে মাছ ও মাংস কিনতে গিয়ে বাড়তি খরচ গুনতে হয়েছে। ঈদের আগে মাংসের দাম আরও এক ধাপ বেড়েছে। বাজার করতে গেলে কোনটা রেখে কোনটা কিনবো বুঝতে পারি না।
এক সপ্তাহ আগে থেকেই গরুর মাংস কেজিপ্রতি ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিলো। নতুন করে ব্যবসায়ীরা দাম না বাড়ালেও এখন আর কম দামে মাংস কেনার পরিস্থিতি নেই। এর মধ্যেই কারওয়ান বাজারের বিক্রেতারা ২০ টাকা কমে ৭৮০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি করছেন। বাজারে খাসির মাংসের দামও বাড়তি। ভালো মানের খাসির মাংসের দামও এখন কেজিপ্রতি ১ হাজার ২০০ টাকা।
রাজধানীর মিরপুরের শাহ আলী বাজারের মোল্লা গোস্ত বিতানের বিক্রেতা বলেন, কেজিপ্রতি ৮০০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি করছি। মাঝারি আকারের গরু জবাই দিয়ে ভালো মাংস বিক্রি করতে গেলে এর চেয়ে কম দামে বিক্রি সম্ভব নয়।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ঈদ উৎসবের সময় বর্ধিত মাংসের চাহিদাকে কেন্দ্র করে মাংসের দাম ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি করা হচ্ছে। গত এক সপ্তাহে বাজারে প্রতিদিনই কোনো না কোনো মাংসের দাম বেড়েছে। ঈদ উপলক্ষে খামারিরা উচ্চ দামে গরু বিক্রি করায় মাংসের দাম বেশি পড়ছে। অনেকে বলছেন, বেচাকেনা বেশি পরিমাণে না হলে কেজিপ্রতি ৮০০ টাকায় মাংস বিক্রি করেও টিকে থাকা কষ্ট হবে।