উপকূলে ‘মিধিলি’র আঘাত বিপর্যস্ত জনজীবন

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’ শুক্রবার দেশের উপকূলে আঘাত হেনেছে। এতে বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে এর প্রভাবে বরিশাল, বরগুনা, বাগেরহাট ও পিরোজপুরসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলে দিনভর বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া বয়ে যায়। বৈরী আবহাওয়ার কারণে এসব এলাকায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। গাছপালা ভেঙে পড়ে। বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে কয়েকটি স্থানে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। কক্সবাজারের টেকনাফে দেওয়ালচাপায় একই পরিবারের ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। শরীয়তপুরের গোসাইরহাটে ঘরের ওপর গাছ পড়ে মারা গেছেন এক নারী। ভোলায় তিন শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।

এদিকে ঝড়ের কারণে চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য ওঠানামা বন্ধ করে দেওয়া হয়। নদীপথে সব ধরনের যাত্রীবাহী নৌযান চলাচলও বন্ধ হয়ে যায়। বরগুনা ও ভোলার মনপুরায় উত্তাল সাগরে দুটি ট্রলার এবং মোংলায় কয়লাবোঝাই একটি লাইটার জাহাজ ডুবে গেছে। খোঁজ মিলছে না ২০টি ট্রলারসহ কয়েকশ জেলের। টানা বর্ষণে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বোরো ও আমনের। এতে বিপাকে পড়েছেন চাষিরা।

শুক্রবার বিকাল ৪টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিজ্ঞপিতে বলা হয়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’ বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করেছে। উপকূলে আঘাত হেনে এটি দুর্বল হয়ে পড়ে। ফলে মোংলা ও পায়রা বন্দরে দেওয়া ৭ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে ৩ দেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার বন্দরেও ৬ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে ৩ দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়ে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল পটুয়াখালীতে। বেলা ৩টায় সেখানে ঘণ্টায় ১০২ কিলোমিটার গতিতে বাতাস বয়ে যায়।