ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের অন্তত ৪০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের শত শত শিক্ষার্থী। শান্তিপূর্ণভাবে তারা এই কর্মসূচি পালন করলেও গত এক সপ্তাহে অন্তত নয় শতাাধিক শিক্ষার্থীকে আটক করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। অভূতপূর্ব সেই আন্দোলনে এবার যুক্ত হয়েছে কানাডাু ুর নাম। খবর সিবিসি নিউজ।
খবরে জানা গেছে, কানাডার বিখ্যাত ম্যাগগিল বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসরায়েলিবিরোধী বিক্ষোভের সূত্রপাত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে তাঁবু টানিয়ে সেখানে অবস্থান করে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা ম্যাকগিল ও কনকর্ডিয়া বিশ্ববিদ্যালয়কে ইসরায়েল এবং ইহুদিবাদী একাডেমিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক পুরোপুরি ছিন্ন করে তহবিল প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছেন।
ফিলিস্তিনি যুব আন্দোলন মন্ট্রিয়েল শাখা অনির্দিষ্টকালের জন্য এই অবস্থান কর্মসূচির ডাক দিয়েছে। নিজেদের বিশ্ববিদ্যালয়কে গণহত্যায় (ইসরায়েল কর্তৃক ফিলিস্তিনে) অংশীদার হতে দিতে চায় না দাবি করে ফিলিস্তিনপন্থী একাধিক গ্রুপ এই আন্দোলনে যোগ দেওয়ার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক প্রচারণা চালাচ্ছে।
এদিকে ম্যাকগিল ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ জানায়, তারা শিক্ষার্থীদের অন্দোলন সম্পর্কে পুরোপুরি অবগত আছেন। বিক্ষোভকারীরা যতক্ষণ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন মান্য করে বিক্ষোভ চালাবে, সেই পর্যন্ত মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে তারা সম্মান করবে অর্থাৎ আন্দোলনের অনুমতি দেবে।
তবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কর্তৃপক্ষ বলছে, বিক্ষোভ অনুমোদিত হলেও বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ভেতর এভাবে তাঁবু টানানোর বিষয়টি অনুমোদনযোগ্য নয়। শিক্ষার্থীরা এ ধরনের কার্যকলাপ বন্ধ না করলে তারাও যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মতো মুখোমুখি পরিস্থিতির মুখে পড়তে পারে।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম ইসরায়েলিবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়। অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের অনেক উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তা ছড়িয়ে পড়ে। স্বাভাবিকভাবে তাদের দমিয়ে রাখতে বাধ্য হয়ে পুলিশ ডাকা হয়েছে। এ পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ৯০০ শিক্ষার্থীকে আটক করেছে বলে জানা গেছে। কোথাও কোথাও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতনও চলাচ্ছে মার্কিন পুলিশ।