ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সদস্যদের বিনামূল্যে খাবার দেওয়ার সংবাদ প্রচারিত হওয়ায় নতুন করে বয়কটের মুখে পড়েছে আরেকটি চেইন রেস্টুরেন্ট। ম্যাকডোনাল্ড, স্টারবাকসের পর এবার এ তালিকায় যুক্ত হয়েছে পিজাহাট। খবর নিউজউইক।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা দুটি ছবির কারণে ঘটনার সূত্রপাত হয়। একটি ছবিতে সশস্ত্র এক ইসরায়েলি সেনাকে পিজাহাটের পিৎজার বেশ কিছু বক্সের ওপর হাত রেখে পোজ দিতে দেখা গেছে। ছবিটিতে লেখা রয়েছে, ‘সাহায্য করতে পেরে গর্বিত’। দ্বিতীয় ছবিটিতে ইউনিফর্মধারী দুজন ইসরায়েলি সেনাকে বেশ কিছু পিৎজাবক্স নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। যেখানে লেখা রয়েছে, ‘ইসরায়েলের ভালোবাসার জন্য’। সামরিক ঘাঁটিতে বিনামূল্যে খাবার দেওয়ার জন্য ইসরায়েলি সেনারাও ইসরায়েলের পিজা হাট ফ্র্যাঞ্চাইজির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে।
ফিলিস্তিনি সংবাদ সংস্থা কুদস নিউজ নেটওয়ার্ক এ ছবি দুটি পোস্ট করে দাবি করেছে, পিজাহাটের পক্ষ থেকে পিজ্জাগুলো বিনামূল্যে দেওয়া হয়েছিল এবং সেগুলো ইসরায়েলের সামরিক ঘাঁটিতে বিতরণ করা হয়। তবে তাদের এ দাবির সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি। এ ব্যাপারে মন্তব্য জানতে পিৎজা হাটের মূল পরিচালক কোম্পানি ইয়াম ব্র্যান্ডের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছিল, তবে সেটাও সম্ভব হয়নি।
এর পরপরই হ্যাশট্যাগ করে পিজাহাটকে বয়কটের আহ্বান জানায় ফিলিস্তিনপন্থী বিভিন্ন সংগঠন। এ রকম একটি পোস্টে বলা হয়েছে, তারা গণহত্যাকারী সেনাদের বিনামূল্যে পিৎজা খাওয়াচ্ছে। বন্ধুরা জানেন, আপনাদের এখন কী করতে হবে। এর জবাবে এক ব্যক্তি বলেন, আমাদের অবস্থান পরিস্কার। আমরা মানবতার পক্ষে দাঁড়াব। আরেকজন বলেছেন, ইসরায়েলিদের চালানো গণহত্যার পক্ষে দাঁড়ানো ম্যাকডোনাল্ড ও পিজাহাটের বিরুদ্ধে আমাদের দাঁড়াতে হবে। তবে কেউ কেউ পিজাহাটের পক্ষেও মন্তব্য করেছেন।
এর আগেও গাজায় হামলাকারী ইসরায়েলি সেনাদের সমর্থন জানিয়ে এবং সাহায্য করে বয়কটের সম্মুখীন হয়েছে বেশ কিছু কোম্পানি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মার্কিন মালিকানাধীন চেইন রেস্টুরেন্ট ম্যাকডোনাল্ডস ও স্টারবাকস। ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে ডাকা বয়কটের কারণে কোম্পানিগুলো বড় আকারের লোকসানের মুখে পড়েছে। এ অবস্থায় কোনো কোনো কোম্পানি বয়কট আহ্বানকারীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। তবে এতেও তাদের ব্যবসা আগের অবস্থায় ফিরে যায়নি।