এবার শিল্প খাতে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি, ঘোষণা শিগগির

অনলাইন ডেস্কঃ

দেশে তীব্র গ্যাস-সংকট চলছে। আবাসিকে দিনের বেশির ভাগ সময়ই গ্যাস থাকে না, ধুঁকছে শিল্পকারখানার উৎপাদনও। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, গ্যাসের অভাবে শিল্পোৎপাদন অর্ধেকে নেমে এসেছে। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। শিগগির শিল্প খাতে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির ঘোষণা আসতে পারে।

এত দিন বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ানোর একক সিদ্ধান্ত নিত বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। সম্প্রতি কমিশনকে পাশ কাটিয়ে নির্বাহী আদেশে বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে সরকার। গ্যাসের দাম এই প্রক্রিয়ায় বাড়ানো হতে পারে বলে জানা গেছে।

বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ করপোরেশনের (পেট্রোবাংলা) কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আইএমএফের শর্ত মেনে জ্বালানি খাতে সংস্কারের অংশ হিসেবেই গ্যাসের দাম বাড়াবে সরকার। বিষয়টি নিয়ে এত দিন কাজ করেছে পেট্রোবাংলা। শিল্পে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাবটি এখন জ্বালানি বিভাগে আছে।এ যাত্রায় আবাসিকে দাম বাড়ছে না।

বর্তমানে প্রতি ইউনিট ১৬ টাকা দামে গ্যাস পান শিল্পমালিকেরা। এখন তা ইউনিটপ্রতি ১৫ থেকে ১৮ টাকা বাড়ানোর প্রক্রিয়া চলছে বলে পেট্রোবাংলা ও জ্বালানি বিভাগের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।

গ্যাসের দাম বাড়ানোর ব্যাপারে জানতে চাইলে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার বলেন, ‘আমি সম্প্রতি পেট্রোবাংলায় যোগদান করেছি। আমার জানামতে, গ্যাসের দাম বাড়ানো নিয়ে নতুন করে কোনো কিছু হচ্ছে না। তবে আগে থেকে এটা নিয়ে কাজ করা হচ্ছে, সেটা চলমান।’

জ্বালানি খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিইআরসি গত বছরের ৫ জুলাই গ্রাহক পর্যায়ে গ্যাসের দাম গড়ে ২২ দশমিক ৭৮ শতাংশ বাড়িয়েছিল। তখন শিল্প খাতে ব্যবহৃত ক্যাপটিভ বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাসের দাম ১৫ দশমিক ৫২ শতাংশ বাড়িয়ে ১৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আগে এ শ্রেণির গ্যাসের দাম ছিল ১৩ টাকা ৮৫ পয়সা।
অর্থসংকটে গত বছরের জুলাই থেকে স্পট মার্কেট থেকে উচ্চমূল্যের তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি বন্ধ রাখে পেট্রোবাংলা। এতে দেখা দেয় তীব্র গ্যাস-সংকট। পেট্রোবাংলা হিসাব করে দেখেছে, শিল্প খাতে গ্যাসের দাম প্রতি ইউনিটে ১৫-১৮ টাকা বাড়ানো গেলে একদিকে গ্যাস খাতে ভর্তুকি কমে আসবে, আবার অন্যদিকে এলএনজি কিনে উৎপাদন খাতে গ্যাস সরবরাহও করা যাবে।