ওমানের আকাশে ব্যবহার করার অনুমতি পেল ইসরায়েলি বিমান

ওমান জানিয়েছে, ইসরায়েলের ফ্লাইটগুলো তাদের আকাশসীমা ব্যবহার করতে পারবে। তবে তাদের জন্য ওমানের ভূখণ্ডে নামার কোনো অনুমতি নেই। ওমানের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সভাপতি নায়েফ আল-আব্রি বলেছেন সোমবার এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর আনাদোলু।

স্থানীয় অনলাইন নিউজ জার্নাল আথিরকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আব্রি বলেন, ওমানের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ একটি টেকনিক্যাল সংস্থা, যা ১৯৪৪ সালে স্বাক্ষরিত শিকাগো চুক্তিসহ আন্তর্জাতিক কনভেনশনের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

ওমানের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ৫০ বছর পূর্ণ করেছে জানিয়ে আব্রি আরও বলেন, বেসামরিক বিমান চলাচলের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক চুক্তিগুলো মেনে চলতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। একই সঙ্গে আমরা বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় ওমানের সূচককেও উন্নীত করতে চাই। আর সে কারণেই আন্তর্জাতিক চুক্তির সকল শর্ত মেনে চলতে বিমান কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ইসরায়েলি ফ্লাইটগুলো সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে আল আব্রি বলেন, এই বিষয়ে কর্তৃপক্ষের বিবৃতি স্পষ্টই ছিল। এতে বিস্তারিত বলা হয়েছে, ইসরায়েলি ফ্লাইটগুলো কেবল ওমানের আকাশপথ ব্যবহার করতে পারবে, আকাশসীমা ব্যবহার করে অন্য দেশে যেতে পারবে। তবে জরুরি কোনো কারণ ছাড়া ওমানে নামার কোনো অনুমতি তাদের নেই। এ নির্দেশনা ওমানের যে কোনো বিমানবন্দরের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।

গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ওমানের সিভিল অ্যাভিয়েশন অথরিটি এক ঘোষণায় জানায়, নির্ধারিত শর্ত পূরণসাপেক্ষে সব ধরনের বেসামরিক বিমান পরিবহনকে তার আকাশসীমা অতিক্রম করার অনুমতি দেওয়া হবে। এ নির্দেশনায় ইসরায়েলের ব্যাপারে আলাদা কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। ফলে এই ঘোষণার মাধ্যমেই ইসরায়েলি ফ্লাইটগুলো ওমানের আকাশসীমা ব্যবহারের অনুমতি পায়।

মূলত যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ইসরায়েলের ফ্লাইটগুলোর জন্য এ অনুমতি দেয় ওমান। তবে এর তিন মাস আগে ওমানের শুরা কাউন্সিল ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক রাখার ব্যাপারে কঠোর শাস্তির বিধান করে একটি আইনের প্রস্তাব আনে। ইসরায়েল ও ইসরায়েলের জন্য কাজ করে এমন কোনো পক্ষের সঙ্গে ওমানের নাগরিক ও সংস্থাগুলোর সম্পর্ক নিষিদ্ধ করে একটি আইন বিদ্যমান থাকাবস্থাতেই এ প্রস্তাব আনা হয়।

এর প্রায় আট মাস আগে ইসরায়েল প্রথমবারের মতো সৌদি আরবের আকাশসীমা ব্যবহার শুরু করেছিল। এশিয়াসহ বিভিন্ন গন্তব্যে ফ্লাইটের সময় ও পথ সংক্ষিপ্ত করতে অনুরোধ জানানোর পর সৌদি তাদের আকাশসীমা ব্যবহারের অনুমতি দেয়।