কফিন বদলে যাওয়া আফছরের লাশ বুঝে পেল স্ত্রী-সন্তান

কফিন বদলে যাওয়া সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার গ্রিস প্রবাসী আফছর মিয়ার মরদেহ অবশেষে তার স্বজনদের কাছে পৌঁছেছে।

আজ মঙ্গলবার ভোর রাতে আফছর মিয়ার লাশ বাড়িতে পৌঁছলে তার স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। এ সময় পুরো গ্রামে শোকের ছায়া নেমে আসে। পরে সকাল ১০টায় দামোধরতপী মসিজেদ প্রাঙ্গণে জানাজা শেষে তাকে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়।

আফসার মিয়া উপজেলার দামোধরতপী গ্রামের মৃত জমসিদ আলীর বড় ছেলে। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও এক কন্যা সন্তান রেখে গেছেন।

শান্তিগঞ্জ থানার ওসি খালেদ চৌধুরী জানান, গ্রিসে মৃত্যুবরণকারী আফছরের লাশ আজ ভোরে বাড়িতে পৌঁছেছে। পরে সকালে জানাজা শেষে তার দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। এ নিয়ে কোনো বিপত্তি হয়নি।

২৮ ফেব্রুয়ারি লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত আফছর মিয়া গ্রিসের রাজধানী এথেন্সের সুতরি হাসপাতালে মারা যান। এ সময় তাঁর ভাই এমরান সেখানে উপস্থিত থেকে মৃত্যুর চার দিন পর লাশ আনার সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে দেশে ফেরেন।

গত শুক্রবার লাশবাহী গাড়ি আফছর মিয়ার বাড়িতে এসে পৌঁছে। লাশের কফিনে আফছরের নাম-ঠিকানা ঠিক থাকলেও সকালে কফিন খুলে দেখা যায় অন্য এক ব্যক্তির মরদেহ এসেছে। এ নিয়ে সৃষ্টি হয় নানা জটিলতা।

এক পর্যায়ে জানা যায়, ওই লাশ মুন্সীগঞ্জ জেলার টঙ্গীবাড়ি উপজেলার শিলনপুর গ্রামের জালাল মিয়া নামে আরেক গ্রিস প্রবাসীর। ভুলবশত লাশের তথ্যসংবলিত কফিনের স্টিকার অদল-বদল হয়ে যাওয়ায় এমন সমস্যার উদ্ভব হয়েছিল। পরে প্রশাসনের সহযোগিতায় জালালের লাশ বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তাঁর পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।