কবরে গেলেও বলব ‘নৌকায় ভোট দে’: শাহজাহান ওমর

ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঁঠালিয়া) আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বলেছেন, কেন্দ্রে বসে সিল মারা যাবে না। কারণ নির্বাচনে দেশি-বিদেশি সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষণ থাকবে। সিল মারলে তারা ছবি তুলে ছড়িয়ে দেবে। তাহলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যাবে।

সোমবার (১ জানুয়ারি) বিকেলে লেবুবুনিয়া মাদরাসা মাঠে নির্বাচনী পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সাবেক এ আইন প্রতিমন্ত্রী বলেন, আপনারা একদিন নৌকায় সিল মারুন, আমি আগামী ৫ বছর আপনাদের সেবা দেব। আমি আপনাদের সেবক হতে চাই।

বরিশাল, ঝালকাঠি, রাজাপুর, কাঁঠালিয়া এ অঞ্চল আমি বিএনপির দুর্গ হিসেবে গড়ে তুলেছি। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এটি উপলব্ধ করেছেন। তিনি কানে কানে বলেছেন, এখন এইটা আওয়ামী লীগের দুর্গ গড়ে দেন। আমি করব, আমার ওপর তার যে আস্থা তার বরখেলাপ হবে না। এ অঞ্চলে আর নৌকার বাইরে কেউ এমপি হতে পারবে না। আমি কবরে গেলেও বলব, ওরে মাইনার দল তাড়াতাড়ি নৌকায় ভোট দে।

নির্বাচন নিয়ে দেশি-বিদেশি নানা ষড়যন্ত্র চলছে। তাই আগামী ৭ জানুয়ারি সবাইকে কেন্দ্র গিয়ে ভোট দিতে হবে’, যোগ করেন বিএনপির সাবেক এই ভাইস চেয়ারম্যান।

এসভায় আরও বক্তব্য দেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খায়রুল আলম সরফরাজ, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সোবাহান খানসহ অনেকে।

এর আগে ২৮ অক্টোবর ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে সহিংসতার পর পুলিশ বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তার অভিযান শুরু করে। এর ধারাবাহিকতায় ৪ নভেম্বর রাতে শাহজাহান ওমরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন ঢাকার নিউমার্কেট থানার বাসে আগুন দেওয়ার একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। ওই মামলায় তিন দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয় বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতাকে।

২৫ দিন কারাবন্দির পর বুধবার জামিন পান শাহজাহান ওমর। একই দিন সন্ধ্যার পর কেরানীগঞ্জে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি। পরদিন সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলন করে আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়ার কথা জানান তিনি। নৌকার প্রার্থী হিসেবে অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তিনি। এরপর তাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত জানিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

উল্লেখ্য, ২০০৩ সালে জোট সরকারের আইন প্রতিমন্ত্রী থাকাকালে শাহজাহান ওমর নিজের কিছু জমি ও সড়কের পাশে রাস্তা ও মহাসড়কের কিছু জমির ওপর বিশাল আকৃতির দোতলা ভবন তৈরি করে বিএনপি অফিস নির্মাণ করেন। ২০০৭ সালে জরুরি অবস্থা চলাকালে সেনাবাহিনী সরকারি জমির ওপর তৈরি করা অংশ ভেঙে ফেলতে চাইলেও কোনো শ্রমিক ওমরের ভবন ভাঙার কাজে রাজি হয়নি।