দু’বছরের পুরনো কম্পিউটারে আর কাজ করতেই পারছেন না? অথবা নতুন কেনা ল্যাপটপ চালু হতেই ১০ মিনিট লেগে যায়? ল্যাপটপ বা কম্পিউটারের এ রকম অনেক ধরনের সমস্যার অনেকটাই আপনি নিজে খুব সহজে মিটিয়ে ফেলতে পারেন। দরকার শুধু একটু নিয়মিত যত্ন আর চেকআপ ।
আপনি নিশ্চয়ই চান আপনার কম্পিউটার নতুনের মতো কাজ করুক।যত বেশি সম্ভব আপনার ডেস্কটপ কম্পিউটার নতুন থাকুক ।
তাহলে আপনার জন্য কিছু কাজ নিয়মিত করলে এটা সম্ভব হবে । আর ইং শা আল্লাহ এতে আপনার কম্পিউটারেরও স্থায়িত্ব বেড়ে যাবে।
আপনি যদি নিচের পাঁচটি কৌশল ব্যবহার করেন তাহলে মনে হবে আপনার কাছে আপনি নতুন কম্পিউটারই ব্যবহার করছেন।
১/ বাড়তি র্যাম লাগান
যদি কম্পিউটার একটু ধীরগতির মনে হয়, তবে বাড়তি র্যাম লাগাতে হবে। প্রসেসরের কাজে কোনো ব্যঘাত না ঘটিয়ে র্যাম সহজে আপনার বহুমুখী কাজের সময় কম্পিউটারের নেপথ্যের (ব্যাকগ্রাউন্ডে) গতি ঠিক রাখবে। দেখে নিন কম্পিউটারের মাদারবোর্ড কী পরিমাণ র্যাম সমর্থন করে, তারপর বাড়তি র্যাম লাগিয়ে নিন। একই সঙ্গে দেখে নিতে হবে র্যাম লাগানোর কয়টা ঘর (স্লট) ফাঁকা আছে।
২/ তথ্য ধারণের ক্ষমতা বাড়িয়ে নিন
কাজ করতে করতে আপনার পিসির এসএসডি (সলিড স্টেট ড্রাইভ) বা হার্ডডিস্ক ড্রাইভের জায়গা ভরে গেলে বুঝতে হবে আরও বেশি জায়গা দরকার তথ্য–উপাত্ত রাখার জন্য। এর জন্য বাড়তি এসএসডি বা হার্ডডিস্ক লাগবে। সাধারণত সব কম্পিউটারেই বাড়তি ড্রাইভ যোগ করার জায়গা থাকে। যদি সেই জায়গা শেষ হয়ে যায়, তবে ক্লাউডের কথা ভাবতে পারেন। ক্লাউড সার্ভারে জায়গা ভাড়া নিয়ে রাখতে পারেন তথ্য–উপাত্ত। এখন অল্প অর্থের বিনিময়ে অনেক গিগাবাইটের জায়গা ক্লাউডে পাবেন। এর বড় সুবিধা হলো প্রয়োজনে যেকোনো সময় যেকোনো স্থান থেকে আপনার দরকারি ফাইল খুলতে পারবেন।
৩/ কম্পিউটার পরিষ্কার করুন
যদি আপনি ইন্টারনেট বেশি ব্যবহার করেন, তবে প্রায়ই কম্পিটার কিছু কুকি সেভ করে রাখে অস্থায়ীভাবে (টেম্পোরারি ফাইলস)। এ ছাড়া ছোট তথ্যগুচ্ছও ফাইল আকারে সেভ হয়। এ কারণে দ্রুত আপনার কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক বা এসএসডি থেকে এই অস্থায়ী ফাইল ও ফোল্ডারগুলো মুছে ফেলতে হবে। এর ফলে কম্পিউটারের গতি একটু বাড়বে। অদরকারি ফাইল আপনি নিজেই পরিষ্কার করতে পারবেন অথবা ইন্টারনেট থেকে এই কাজের কোনো সফটওয়্যার নামিয়ে নিয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এ রকম সফটওয়্যার বিনা মূল্যে
৪/ কম্পিউটার কেসও পরিষ্কার করুন
শুধু কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক পরিষ্কার করলে হবে না। কম্পিউটারের কেস বা খাপ থেকেও ধুলা–ময়লা পরিষ্কার করতে হবে নিয়মিত। ব্যবহার করতে করতে প্রচুর ধুলা জমা হয় কম্পিউটারের বিভিন্ন যন্ত্রাংশে। ধুলা পরিষ্কার করলে যন্ত্রাংশের কাজ করার ক্ষমতা বাড়ে এমন নয়, তবে ধুলা জমলে কম্পিউটারের ভেতরে উৎপন্ন তাপ বের হতে পারে না। ফলে কোনো কোনো যন্ত্রাংশ অতিরিক্ত তাপের কারণে কাজের সময় বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তাই পরামর্শ হলো, নিয়মিত কম্পিউটারের ধুলা পরিষ্কার করতে হবে। নরমাল ব্রাশ দিয়ে প্রতিটি যন্ত্রাংশে জমে থাকা ধুলা পরিষ্কার করতে হবে। আবার ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়েও কাজটি করা যাবে।
৫/ ড্রাইভার নিয়মিত হালনাগাদ করুন
গ্রাফিকস কার্ড, সাউন্ডকার্ডসহ কম্পিউটারে বিভিন্ন যন্ত্রাংশ, মনিটর ও প্রিন্টারের মতো যন্ত্র চালানোর জন্য বিশেষ সফটওয়্যার থাকে। এগুলো ড্রাইভার নামে পরিচিত। প্রতিটি যন্ত্র ও যন্ত্রাংশের ড্রাইভার হালনাগাদ থাকতে হবে। তাহলে যন্ত্রাংশ ও যন্ত্রগুলো সঠিকভাবে কাজ করবে। ভালো হয় মাসে একবার কম্পিউটারের ড্রাইভারগুলো হালনাগাদ করে ফেলা।