কাজুবাদামকে পুষ্টির খনি বলা যায়। মিষ্টিজাতীয় এবং ঐতিহ্যবাহী খাবারে স্বাদ বাড়াতে ব্যবহার করা হয় এ বাদাম। কিন্তু কাজুবাদাম নিয়ে প্রচলিত ধারণা হলো, এটি খেলে ওজন বেড়ে যায়। প্রতিদিন খাওয়ার জন্য এই বাদাম স্বাস্থ্যকর নয়। কাজুবাদাম খাওয়ার কিছু বিস্ময়কর উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
১. কাজুবাদাম এলডিএল নামে শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। এই কোলেস্টেরল ধমনীতে প্লাক বা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে এবং হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। হার্টের কার্যকারিতা বাড়াতে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে এই বাদাম।
২. কাজুবাদাম খাওয়ার একটি বড় উপকারিতা হলো এটি ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। কাজুতে রয়েছে কপার এবং প্রোঅ্যান্থোসায়ানিডিন যা ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে।
৩. কাজুতে যে চর্বি রয়েছে তা ভালো চর্বি। সুস্থ শরীরের জন্য এ ধরনের চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়ার সুপারিশ করা হয়। কাজুবাদামে উপস্থিত চর্বি ভালো কোলেস্টেরল বৃদ্ধি এবং খারাপ কোলেস্টেরল কমানোর জন্য দায়ী। কাজু প্রচুর শক্তি দেয় এবং আপনাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য তৃপ্ত রাখে। সঠিক ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য আপনি প্রতিদিন ৩ থেকে ৪টি কাজুবাদাম খেতে পারেন।
৪. কাজু যেহেতু কপার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের গুণাগুণে ভরা, তাই এ বাদাম আপনার ত্বককে উজ্জ্বল করবে। চেহারায় বয়সের ছাপ কমাতে সাহায্য করে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এছাড়া কপার কোলাজেন তৈরি করে যা ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি করে।
৫. প্রতিদিন কাজু খাওয়া আপনাকে পেটের রোগ থেকে বাঁচাতে পারে এবং হজমেও সাহায্য করে।
৬. কাজুতে উচ্চ মাত্রার লুটেইন এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা আমাদের চোখকে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া থেকে রক্ষা করে। এটি সুস্থ দৃষ্টিশক্তিও নিশ্চিত করে।
৭. কাজুবাদামে প্রচুর পরিমাণে খনিজ এবং ভিটামিন রয়েছে। ফলে প্রতিদিন কাজু খাওয়া আপনার বিপাক বাড়াতে সহায়তা করবে। এছাড়াও প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং বিভিন্ন ধরনের এনজাইমের কারণে এটি আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়াবে। প্রসঙ্গত, দেহে খাবারকে শক্তিতে রূপান্তরের পদ্ধতিকে বিপাক প্রক্রিয়া বলে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া