কাদিয়ানীদের নিয়ে এতো কথা কেন?

লেখক, মুহাম্মদ এহছানুল হক সন্দ্বীপি

অনেকে ভাবেন, কাদিয়ানী ইস্যু নিয়ে এতো হৈ চৈ কেন! কাদিয়ানীরা দেখতে আমাদের মতো সাধারণ। পোশাক চলন বলনেও মুসলিম ভাব। তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কেন এতো রাগ। এতো রোষ বিদ্বেষানল।

ব্যাপারটা ঠুনকো নয়। গণতান্ত্রিক এ দেশে কোন ধর্ম আদর্শ বা মতবাদ নিষিদ্ধের দাবি নিয়ে রাজনীতির মাঠ গরম হয় না। আন্দোলন বিক্ষোভ চলে না। যা হয় তা শুধু কাদিয়ানীদের নিয়ে। কারণ কাদিয়ানীরা কখনো মুসলিম না। তারা কাদিয়ানী; স্বতন্ত্র মতবাদের অনুসারী। তবে ওরা প্রকৃত পরিচয় গোপন করে। নিজেদের মুসলিম দাবি করে এবং সাধু বেশে ইসলামের বিরোধীতা করে। দ্বীনে হানিফের বিকৃতি করে।

এ মতবাদের প্রবর্তক মির্জা গোলাম আহমদ। পাঞ্জাবের কাদিয়ানে থাকতেন। জীবনে বহু অনুচিত বলেছেন। করেছেন আরও অনেক বেশি। আর সেসব লিখেও রেখে গেছেন। তার লিখনীর সমষ্টিকে অনুসারীরা রুহানী খাযায়েন নামে ছেপেছে।

মির্জার লিখনীগুলি, তার বচন বাক্য সবই প্রমাণ করে, যে সে মুসলিম নয়। রুহানী খাযায়েনের পাতায় পাতায়, ছত্র শিরোনামে কুফরের দুর্গন্ধ। যে পড়ে, সেই ভাবে; এটা ভালো মানুষের লেখা নয়। সভ্য মানুষের কথা নয়। গালি, মিথ্যাচার, ধোঁকা, লাম্পট্য ও প্রতারণার নির্লিপ্ত দাস্তান।

ঐ লেখা সাধারণ লোকেরা পড়ে না। বিশিষ্ট ও দায়িত্বশীলরাও না। ফলে বলে বলে বোঝাতে হয়। কেননা যারা মির্জার লেখা পড়ে, সবাই বদলে যায়। কাদিয়ানী মতবাদের স্বরূপ খুঁজে পায়। ন্যায় অন্যায়ের পার্থক্যটা স্পষ্ট দেখে। সেভাবে নিজের পক্ষ ঠিক করে।

মির্জা যখন মিথ্যাচার শুরু করে তখন থেকে আহলে দেওবন্দ জাতিকে সজাগ করছেন। তার মিথ্যা ও প্রতারণা ধরিয়ে দিচ্ছেন। অন্য মাসলাকের আলিমগণও কাজ করেছেন, করছেন। শত বছর পর এখন মির্জাকে আলিম বলাটা হাস্যকর। দেওবন্দের সাথে মির্জাকে জড়ানোটা উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত। স্বাধীকার বা এ জাতীয় শব্দে বাধহীন অন্যায়ের সুযোগ দেওয়াটা ধর্ম ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ।

কোন মুসলিমের জন্য কাদিয়ানী ইস্যুতে অবহেলা করার অবকাশ নেই। সজাগ হোন। নিজের অবস্থান ও কর্তব্য বুঝুন। ইসলাম ও মুসলিমবিশ্ব নিয়ে ভয়াবহ চক্রান্তে মেতে ওঠা এ মতবাদ ও জনগোষ্ঠী আমাদের আশপাশে বিরাজ করছে; বিস্তৃত হচ্ছে। ধর্ম ও জাতির স্বার্থে ওদের চিনুন, জানুন, পদক্ষেপ নিন। সর্বোপরি কল্যানের কাজে আল্লাহ আমাদের সহায় হোন। আমীন।

মুহাম্মদ এহছানুল হক সন্দ্বীপি

লেখক,