কারাদণ্ডের রায় ঘোষণার ৫ মিনিটের মধ্যে ড. ইউনূসের জামিন

শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় কারাদণ্ড পাওয়ার ৫ মিনিটের মধ্যেই গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চার আসামিকে জামিন দিয়েছেন শ্রম আদালত।

এর আগে ড. ইউনূসসহ চারজনের ছয় মাসের কারাদণ্ড ও জরিমানার রায় দেয় শ্রম আদালতের বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানা।

আজ সোমবার ওই চারজনের সাজার রায় ঘোষণার পর তাদের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে আদালত।

অন্য তিন আসামি হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান।

রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, ‌‘আসাসিপক্ষ এক নম্বর আসামির বিষয়ে প্রশংসাসূচক বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন। যেখানে তাকে দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াই করা নোবেলজয়ী আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব বলা হয়েছে। কিন্তু এ আদালতে নোবেলজয়ী ইউনূসের বিচার হচ্ছে না, গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান হিসেবে বিচার হচ্ছে। ’

দুপুর ২টা ১৫ মিনিটের দিকে ঢাকার শ্রম আদালত-৩ এর বিচারক ৮৪ পৃষ্ঠার এ রায় ঘোষণা শুরু করেন। রায় শুনতে বিশিষ্ট নাগরিক ও মানবাধিকারকর্মীরা আদালতে উপস্থিত হন।

গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর এ মামলায় উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য আজকের দিন ধার্য করে আদালত।

গত ২২ আগস্ট এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ৮ নভেম্বর আত্মপক্ষ সমর্থনে বক্তব্য দেন বিবাদীরা। এরপর থেকে মামলাটিতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু হয়। সেই থেকে ১০ দিনের মতো যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের দিন ঘোষণা করা হয়।

৮ মে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলা বাতিলের আবেদন খারিজের বিরুদ্ধে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের লিভ টু আপিল খারিজ করে দেয় আপিল বিভাগ। এরপর ৬ জুন আদালত তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেয়।

২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন।

মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।