কারাবন্দি বিএনপি নেতার হাসপাতালে মৃত্যু 

নাটোর জেলা কারাগারে অসুস্থ হওয়ার ৯ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় এ কে আজাদ সোহেল নামে এক বিএনপি নেতার মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেকে) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।  

এ কে আজাদ সোহেল নাটোরের সিংড়া উপজেলার হাতিয়ানদহ ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সিংড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান লেলিন জানান, গত ১৮ নভেম্বর সন্ধ্যায় এ কে আজাদ সোহেল আটক করে ডিবি পুলিশ।এরপর নাটোর কারাগারে পাঠায় তাকে।  

তিনি বলেন, ৩০ নভেম্বর আদালত তাকে (এ কে আজাদ সোহেল) জামিন দেয়। পরে কারাগারে তাকে নিয়ে আসতে গেলে কারাকর্তৃপক্ষ জানায়, আজাদ অসুস্থ থাকায় তাকে চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

তিনি অভিযোগ করেন, সোহেলকে রাজশাহী মেডিকেলের বারান্দার বিনা চিকিৎসায় ফেলে রাখা হয়। জামিনের পরে কারাকর্তৃপক্ষের মারফত পরিবারের সদস্যরা এ ঘটনা জানলে তারা গিয়ে সোহেলের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানে আজ তার মৃত্যু হয়।

নিহতের বড় ভাই শামীম হোসেন বলেন, বিনা অপরাধে আমার ভাইকে গ্রেপ্তার করে জেলে ভরে পুলিশ। নাটোর জেলে অসুস্থ হয়ে রাজশাহীতে আজ দুপুরে মারা যায় সে। তিনি বলেন, মরদেহ এখনো হাসপাতালেই আছে। লাশ বের করতে পারলে আগামীকাল জানাজা হবে।  

এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রহিম নেওয়াজ  বলেন, এ কে আজাদ সোহেলকে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তারের পর কারাগারে পাঠায় পুলিশ। সেখানে নির্যাতনের পরে সে অসুস্থ হয়। সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসার অভাবে মৃত্যু হয় তার। তার মৃত্যুতে জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে শোক প্রকাশ করেন বিএনপির এই নেতা।  

মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে নাটোর জেলা কারাগারের জেলার মো.মোশফিকুর রহমান জানান, ২১ নভেম্বর এ কে আজাদ সোহেলকে জেলহাজতে নিয়ে আসা হয়। সে নাশকতার মামলার আসামি ছিল। ২৯ নভেম্বর সন্ধ্যায় অসুস্থ হলে প্রথমে নাটোর সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। সেখানকার ডাক্তাররা তাকে রাজশাহী মেডিকেলে রেফার করলে আমরা তাকে রাজশাহীতে পাঠিয়ে দেই। সে রাজশাহী কারাগারের আওতায় চিকিৎসাধীন ছিল।  

নিহত এ কে আজাদ সোহেলের অসুস্থতার কথা পরিবারকে জানানো হয়েছিল কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, হরহামেশাই অনেকে এ রকম অসুস্থ হয়। রাজশাহীর দূরত্ব অল্প হওয়ায় পরিবারকে খবর দেওয়া তখন হয়তো জরুরি মনে হয়নি।