কিছু থাকুক আর না থাকুক ইরাকে হামলা হতোই:মার্কিন গোয়েন্দা

ইরাক যুদ্ধ ও দেশটির প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনকে উৎখাতের ২০ বছর পার হয়ে গেছে। গণবিধ্বংসী অস্ত্র (ডাব্লিউএমডি) থাকার অভিযোগ এনে ইরাকে হামলা চালানো হয়েছিল। তবে এক শীর্ষ মার্কিন গোয়েন্দা বলেছেন, সাদ্দামকে উৎখাতের চেষ্টায় গণবিধ্বংসী অস্ত্র কোনো মুখ্য বিষয় ছিল না। কিছু থাকুক আর না থাকুক ইরাকে অভিযান চলতোই। খবর বিবিসি।

ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা ‘এমআই৬’-এর কর্মকর্তারা ২০০১ সালে টের পান, ইরাকে হামলা চালানোর ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র বেশ আগ্রহী। এমআই৬-এর তৎকালীন প্রধান স্যার রিচার্ড ডিয়ারলাভ সে সময় টনি ব্লেয়ারকে জানান, আপনার পছন্দ হোক বা না হোক, মার্কিন প্রশাসন ইরাকে হামলা চালানোর সব প্রস্তুতি নিয়েছে।

১৯৭৯ থেকে এক টানা আাড়াই দশক ধরে ইরাকের প্রেসিডেন্ট ছিলেন সাদ্দাম হোসেন। উপসাগরীয় যুদ্ধের পর নব্বইয়ের দশকের শুরুতে দেশে থাকা সব গণবিধ্বংসী অস্ত্র ধ্বংস করেন সাদ্দাম হোসেন। জাতিসংঘ থেকে ক্লিয়ারেন্স পাওয়ার জন্যই তিনি এ পদক্ষেপ নিয়েছিলেন বলে ইরাকের একজন বিজ্ঞানী দাবি করেছিলেন। তবে গণবিধ্বংসী কোনো অস্ত্র না থাকা সত্ত্বেও সাদ্দাম শত্রুদেরকে এসব অস্ত্রের ভয় দেখাতেন।

ইরাকে হামলা চালানোর সময় যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তা স্যার রিচার্ড ডিয়ারলাভ অবশ্য মনে করেন, সাদ্দাম হোসেনের কাছে অস্ত্র ছিলই। এ অস্ত্র খুঁজে না পাওয়াকে তিনি জাতিসংঘের পরিদর্শকদের ব্যর্থতা মনে করেন। তার ধারণা, সাদ্দাম এসব বিধ্বংসী অস্ত্র সীমান্ত পার করে সিরিয়ায় পাঠিয়ে দিয়েছিলেন।

গণবিধ্বংসী অস্ত্রের ব্যাপারে ইরাকে জাতিসংঘের জৈব ও রাসায়নিক অস্ত্র পরিদর্শনের নেতৃত্বদানকারী কর্মকর্তা হ্যান্স ব্লিক্স বলেন, ২০০৩ সালের আগ পর্যন্ত আমার বিশ্বাস ছিল, ইরাকে অস্ত্র আছে। কিন্তু পরে সে বিশ্বাস পাল্টে যায়।