![](https://poygam24.com/wp-content/uploads/2022/11/fm.webp)
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বিদেশি কূটনীতিকদের মনে রাখা উচিত আমরা পরাধীন দেশ নই। এটা (বাংলাদেশ) কোনো কলোনী না।
সোমবার (২১ নভেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন কথা বলেন।
ভারত মহাসাগরের উপকূলীয় দেশগুলোর সহযোগিতা সংস্থা ইন্ডিয়ান ওশান রিম অ্যাসোসিয়েশনের (আইওআরএ) মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এসময় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মোমেন বলেন, রাষ্ট্রদূতরা কোড অব কনডাক্ট মেনে চলবেন, এটা আমরা প্রত্যাশা করি। কেননা, আমরা কিন্তু কলোনী নই। একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র। বিদেশি কূটনীতিকদের মনে রাখা উচিত আমরা পরাধীন দেশ নই। তারা তাদের নিয়ম-শিষ্টাচার অনুযায়ী চলবেন, সেটাই আমাদের প্রত্যাশা।
তিনি আরও বলেন, আমি যুক্তরাষ্ট্রে দীর্ঘদিন শিক্ষকতা করেছি। ওই সময়ে সেখানকার সাংবাদিকরা আমাকে নানা বিষয়ে প্রশ্ন করেছেন। কিন্তু রাষ্ট্রদূত হওয়ার পর তারা আমাকে তাদের অভ্যন্তরীণ কোনো বিষয়ে প্রশ্ন করেননি। তবে দুঃখের বিষয় হলো বাংলাদেশের অনেকেই কূটনীতিকদের কাছে যান, অভ্যন্তরীণ প্রশ্ন করেন। এই কালচার পরিবর্তন করা প্রয়োজন।
আব্দুল মোমেন আরও বলেন, এটা খুবই দুঃখজনক। আজ হোক, কাল হোক, আমাদের অবশ্যই এই সংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে।
গণমাধ্যমের ভূমিকার সমালোচনা করে আব্দুল মোমেন বলেন, একজন কূটনীতিক আমাকে বলেছেন আপনারা সাংবাদিকরা তাদের (কূটনীতিক) একটার পর একটা প্রশ্ন করে জর্জরিত করেন, জোর করেন। তখন তারা (কূটনীতিক) বলতে বাধ্য হন। আমাকে একজন কূটনীতিক বলেছেন, তাকে তারা (সাংবাদিক) ওই সব প্রশ্ন করেছেন। আর তিনি তা বলেছেন, যা তিনি জানেন না। ২৩ সদস্য দেশের এ সংস্থার মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন আগামী ২২-২৪ নভেম্বর ঢাকায় শুরু হচ্ছে
উল্লেখ্য, গত ১৪ই নভেম্বর সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) এবং ফ্রেডরিক-অ্যাবার্ট-স্টিফটুং (এফইএস) আয়োজিত ‘মিট দ্য অ্যাম্বাসেডর আয়োজনে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পর্কে এ সময় তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে বৈশ্বিকভাবে জাপানের মতামতের একটা গুরুত্ব রয়েছে। এর আগে আমরা নির্বাচনের আগের রাতে ব্যালট বাক্স ভরে রাখার কথা শুনেছি, যা পৃথিবীর আর কোথাও শুনিনি। আমি আশা করবো এবার তেমন সুযোগ থাকবে না বা এমন ঘটনা ঘটবে না। এ বিষয়ে দেশের পুলিশ কর্মকর্তারা আরও সতর্ক হবেন বলে আশা করি। এছাড়া আমরা একটি সুষ্ঠু এবং সুন্দর নির্বাচন প্রত্যাশা করি। আর বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা চলমান রাখতে আগামী নির্বাচনে গণতান্ত্রিকভাবে সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ।