বান্দরবানে ব্যাংকে হামলা চালানো কেএনএফ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযানের ঘোষণা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। তিনি বলেছেন, ব্যাংকে ডাকাতি ও অস্ত্র লুটের ঘটনা যারাই ঘটিয়ে থাকুক, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে ব্যাংকে হামলা এবং অস্ত্র ও টাকা লুটের ঘটনার পর আজ শনিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে বান্দরবানে যান তিনি। এসব হামলার জন্য বান্দরবানের কুকি চিন সশস্ত্র গোষ্ঠী- কেএনএফকে দায়ী করা হচ্ছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে রয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, বান্দরবানের এমপি বীর বাহাদুর উ শৈ সিং, বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী, আনসার ভিডিপির প্রধান মেজর জেনারেল একেএম আমিনুল হক, পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম।
রুমা উপজেলায় অবস্থিত সোনালী ব্যাংক শাখায় গত মঙ্গলবার রাতে হানা দেয় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। সেখান থেকে টাকা লুট করতে না পারলেও পুলিশসহ নিরাপত্তারক্ষীদের অস্ত্র কেড়ে নেয় সন্ত্রাসীরা। জিম্মি করে নিয়ে যায় ব্যাংকের ম্যানেজার নিজামউদ্দিনকে। রুমার ঘটনার রেশ না কাটতেই পরদিন বুধবার দুপুরে থানচি উপজেলায় সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে একযোগে হানা দেয় সন্ত্রাসীরা।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান আজ শনিবার সকালে রুমার সোনালী ব্যাংক শাখা পরিদর্শন শেষে উপজেলা কমপ্লেক্সে সাংবাদিকদের বলেন, ব্যাংকে ডাকাতি ও অস্ত্র লুটের ঘটনায় জড়িত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান চালাবে যৌথ বাহিনী।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ব্যাংকে ডাকাতি ও অস্ত্র লুটের ঘটনায় আগাম তথ্য দেওয়া নিয়ে গোয়েন্দা বাহিনীর যদি কোনো ব্যর্থতা থাকে, তবে তাদের বিরুদ্ধেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
র্যাবের একটি সূত্র জানিয়েছে, ব্যাংক ডাকাতি, অপহরণ ও অস্ত্র লুটের ঘটনায় কেএনএফের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় আজকেই সমন্বিত অভিযান শুরু করা হবে। অভিযানে সেনাবাহিনী, র্যাব, বিজিবি ও পুলিশ অংশ নেবে। সন্ত্রাসীদের নির্মূল না করা পর্যন্ত যৌথ অভিযান চলবে।