ক্ষুধার্ত গাজাবাসী, ক্ষুধা নিবারণে ঘাস খাচ্ছে: অ্যাকশনএইড

চারমাস অতিবাহিত হয়ে গেল, গাজায় এখনও হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। গাজার সবকিছু ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এ ক্রান্তিলগ্নে গাজায় যে কিঞ্চৎ সহায়তা পাঠানো হচ্ছে তাতেও চরম নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে তেল আবিব। এমন অবস্থায় গাজাবাসী ক্ষুধা মেটাতে ঘাস খেতে বাধ্য হচ্ছে, এমনটাই জানিয়েছে অ্যাকশনএইড। খবর মিডলইস্ট মনিটর।

গত ৭ অক্টোবরে থেকে চলা ইসরায়েলের এ হামলায় গাজাবাসী বারংবার বাস্তুচ্যুত হয়েছে। গাজার বাইরে যেতে না পারায় গাজার মধ্যেই তাদের থাকার জায়গা পাল্টাতে হচ্ছে। খাদ্য, পানি, চিকিৎসার অভাবে মানবেতর জীবন যাপন করতে বাধ্য হচ্ছে গাজাবাসী। ইসরায়েলে অব্যাহত হামলার পরিপ্রেক্ষিতে গাজার ১৪ লাখের বেশি মানুষ এখন রাফাহর অস্থায়ী তাঁবুগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে। ইসরায়েলে এ স্থানটিও খালি করার নির্দেশ দেওয়ায় এসব মানুষ ফের আরেকবার বাস্তুচ্যুত হওয়ার আশঙ্কায় পড়েছে।

অ্যাকশনএইড সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, রাফাহতে স্থল আক্রমণ চালানো হলে তা ভয়াবহ বিপর্যয়ের সৃষ্টি করবে। গাজার লোকেদের আর পালিয়ে যাওয়ার কোনো জায়গাই থাকবে না। এক জরিপ দেখা গেছে, গত চার মাসে গাজার ২৩ লাখ মানুষের ৮৫ শতাংশ নিজেদের বাড়িঘর ছেড়ে সরে যেতে বাধ্য হয়েছে। অনেকে এ সময়ে একাধিকবার বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

বাস্তুচ্যুত মানুষের এ চাপ সইতে না পারলেও রাফাহতে গাজাবাসীর আসা বন্ধ হয়নি। একেকটি তাঁবুতে ১২ জন মিলে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন। পর্যাপ্ত খাদ্য, পানীয় ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করা যাচ্ছে না।

অ্যাকশনএইড প্যালেস্টাইনের অ্যাডভোকেসি এবং যোগাযোগ সমন্বয়কারী রিহাম জাফরি বলেন, রাফাহতে আশ্রয় নেওয়া লোকজন এখন ক্ষুধা নিবৃত্তি করতে বাধ্য হয়ে ঘাস খাচ্ছে। গাজার প্রতিটি মানুষ ক্ষুধার্ত। তারা দিনে সর্বোচ্চ দেড় থেকে দুই লিটার অনিরাপদ পানি পাচ্ছে। ঠান্ডা ও বৃষ্টিময় পরিস্থিতি মোকাবেলায় তাদের কাছে পর্যাপ্ত খাবার ও পোশাক নেই। ফলে তারা নানা ধরনের রোগ-সংক্রমণের শিকার হচ্ছে।

জাফরি বলেন, আমরা রাফাহতে ইসরায়েলের সম্ভাব্য স্থল আক্রমণ এবং বিমান হামলা বৃদ্ধির খবরে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। কারণ রাফাহতে এখন ১৪ লাখের বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। রাফাহতে ইসরায়েলের হামলা শুরু হলে এই ১৪ লাখের বেশি মানুষ কোথায় যাবে?