খরার পর ভয়ংকর বন্যার কবলে কেনিয়া, নিহত ১২০

প্রায় চার দশক ধরে চলা খরার কবল থেকে সম্প্রতি রেহাই পাওয়ার পর কেনিয়া এখন ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে। নিহত হয়েছেন অন্তত ১২০ জন।

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে কেনিয়ায় সমানে বৃষ্টি পড়ছে। তার ফলে বিশাল এলাকা বন্যার কবলে পড়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রেমন্ড ওমোলো জানিয়েছেন, অন্ততপক্ষে ১২০ জন মারা গেছেন। ৯০ হাজার বাড়িতে বন্যার পানি ঢুকে যাওয়ায় সেই সব বাড়ির বাসিন্দাকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাদের জন্য ১২০টি ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে।

আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, এল নিনোর জন্যই কেনিয়ায় এই ধরনের বৃষ্টি হচ্ছে। বন্যার বিরুদ্ধে কেমনভাবে লড়ছে কেনিয়া সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা চালু করতে চাইছেন।

কেনিয়ায় বন্যার হাত থেকে বাঁচতে এইভাবেই প্রাণ হাতে করে নদী পারাপার করছেন মানুষ। এইভাবে নদী পেরোতে গিয়ে আটজন মারা গেছেন।

কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটো জানিয়েছেন, বন্যাদুর্গত এলাকার জন্য পর্যাপ্ত অর্থ দেয়া হবে। প্রেসিডেন্টের অফিস জানিয়েছে, এল নিনোর প্রভাবে স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি বৃষ্টি পড়েছে। অনেক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। পরিকাঠামো ও সম্পত্তি ধ্বংস হয়েছে। কেনিয়া-জুড়ে বিদ্যুতের সমস্যা দেখা দিয়েছে।

ত্রাণ সংস্থাগুলি জানিয়েছে, কয়েক হাজার বাড়ি ভেসে গেছে বা ডুবে গেছে। বিস্তীর্ণ এলাকায় চাষের জমি চলের তলায় চলে গেছে। প্রচুর পশুর মৃত্যু হয়েছে। সামান্য সম্বল হাতে নিয়ে এভাবেই নিরাপদ অঞ্চলে যাওয়ার চেষ্টা করছেন মানুষ। সামান্য সম্বল হাতে নিয়ে এভাবেই নিরাপদ অঞ্চলে যাওয়ার চেষ্টা করছেন মানুষ।

ওমোলো জানিয়েছেন, দেশের সব প্রধান জলাধারের দিকে নজর রাখা হয়েছে। কিয়ামবেরে জলাধারে এক মিটার বাড়লেই পানি উপছে পড়বে। কেনিয়া ছাড়াও সোমালিয়া ও ইথিওপিয়ায় এল নিনোর প্রভাবে চকিত বন্যা দেখা দিয়েছে। সোমালিয়ায় ৯৬ জন মারা গেছেন। সাত লাখ মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন।

সূত্র: ডয়চে ভেলে।