ফিলিস্তিনের গাজায় উপত্যকায় হামলার ক্ষেত্রে খাদ্য সংকটকে হাতিয়ার বানিয়েছিল ইসরায়েল। উপত্যকাটিতে খাবার, পানি, বিদ্যুৎ বন্ধ করে দিয়ে পুরোপুরি নরক বানিয়ে তুলতে চেয়েছিল ইসরায়েলি বাহিনী। সেই ইসরায়েলই এবার খাদ্য সংকটে পড়তে যাচ্ছে বলে সতর্ক করে দিয়েছে দেশটির ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন। খবর আনাদোলু।
খাদ্য সংস্থাটির উদ্ধৃতি দিয়ে খবরে বলা হয়, গাজা যুদ্ধের বর্তমান পরিস্থিতিতে লোহিত সাগরে ইসরায়েলমুখী যে কোনো জাহাজে ইয়েমেনের হুথিদের হামলার হুমকির কারণে খাদ্য সংকটে পড়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থায় ইসরায়েলের খাদ্য উৎপাদন যেন দেশের খাদ্য চাহিদার তিন-চতুর্থাংশের নিচে চলে না যায়, তা নিশ্চিত করতে খাদ্য সংস্থাটি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। সংস্থাটি সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, এ ব্যবস্থা গ্রহণে ব্যর্থতা যুদ্ধ ও জরুরি সময়ে খাদ্যের তীব্র ঘাটতি সৃষ্টি করবে।
গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলা এবং সে হামলায় হাজার হাজার ফিলিস্তিনি নিহতের প্রতিক্রিয়া হিসেবে লোহিত সাগরে ইসরায়েলের জাহাজ বা ইসরায়েলমুখী যে কোনো জাহাজে হামলার ঘোষণা দেয়। ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রের সাহায্যে তারা বেশ কয়েকটি জাহাজে হামলাও করে। ফলে এ রুট দিয়ে জাহাজ চলাচল কমে যায়।
এ অবস্থায় লোহিত সাগর দিয়ে চলাচলকারী জাহাজগুলো বিকল্প পথে চলাচল শুরু করে। এতে জাহাজগুলোর পরিচালন ব্যয় অনেকখানি বেড়ে যায়। আবার যে জাহাজগুলো এ রুটে চলাচল করে সেগুলোর ক্ষেত্রে বীমাবাবদ অনেক বেশি খরচ হতে থাকে। এর প্রতিক্রিয়ায় অনেক বৈশ্বিক শিপিং লাইনই এ পথে তাদের কার্যক্রম বন্ধ করার ঘোষণা দেয়। সব মিলিয়ে ইসরায়েলমুখী জাহাজের অবাধ চলাচল অনেকখানিই কমে আসে। যার প্রভাব পড়ে ইসরায়েলের খাদ্য সরবরাহে। এ অবস্থা দীর্ঘায়িত হলে আরও বড় ধরনের সংকটের সতর্কবার্তা দিয়েছে ইসরায়েলের ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন।
উল্লেখ্য, বৈশ্বিক বাণিজ্যের ১০ থেকে ১৫ শতাংশ ও কনটেইনার বাণিজ্যের ৩০ শতাংশ লোহিত সাগর ও ভূমধ্যসাগরের সংযোগকারী রুট দিয়ে চলাচল করে থাকে।