খেলাপি ঋণ ১ লাখ ২০ হাজার ৬৫৬ কোটি টাকা,নিরাপত্তা সঞ্চিতির ঘাটতিতে ৮ ব্যাংক

খেলাপি ঋণের চাপে ঝুঁকিতে রয়েছে ব্যাংকিং খাত।এই দিক থেকে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোতে খেলাপির হার সবচেয়ে বেশি। এর পরেই রয়েছে বেসরকারি ও বিশেষায়িত ব্যাংক।

গেল বছরের ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকিং খাতের মোট ঋণের স্থিতি ১৪ লাখ ৭৭ হাজার ৭৮৮ কোটি ৭৬ লাখ টাকা দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে ১ লাখ ২০ হাজার ৬৫৬ কোটি টাকা; যা মোট ঋণের ৮ দশমিক ১৬ শতাংশ।

এর আগের বছর ২০২১ সালের ডিসেম্বর এক লাখ ৩ হাজার ২৭৪ কোটি টাকা খেলাপি ঋণ ছিল; যা মোট ঋণের ৭ দশমিক ৯৩ শতাংশ। সেই হিসাবে ব্যাংক খাতে বছরের ব্যবধানে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১৭ হাজার ৩৮২ কোটি টাকা। তবে ত্রৈমাসিকের হিসাবে সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বরে খেলাপি ঋণ কমেছে ১ দশমিক ২০ শতাংশ।

১৯ ফেব্রুয়ারি, রোববার খেলাপি ঋণ সংক্রান্ত ডিসেম্বর-২০২২ প্রান্তিকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানায় বাংলাদেশ ব্যাংক।

প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, নগদ টাকার পাশাপাশি শতকরা হিসাবেও বেড়েছে খেলাপি ঋণ। ডিসেম্বরে বিতরণ করা ঋণের ৮ দশমিক ১৬ শতাংশই খেলাপি; যা গেল বছরের একই সময়ের তুলনায় দশমিক ২৩ শতাংশ বেশি। এ সময়ে ব্যাংক খাতে ১৪ লাখ ৭৭ হাজার ৭৮৮ কোটি টাকা মোট ঋণ ছিল। আর ২০২১ সালের একই সময়ে ছিল ১৩ লাখ ১ হাজার ৭৯৭ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত ডিসেম্বর শেষে মোট ঋণের পরিমাণ ছিল ১৪ লাখ ৭৭ হাজার ৭৮৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে শ্রেণীকৃত বা খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১ লাখ ২০ হাজার ৬৫৭ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৮ দশমিক ১৬ শতাংশ। গত সেপ্টেম্বর শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৩৪ হাজার ৩৯৬ কোটি টাকা।মোট ঋণের অনুপাতে ছিল ৯ দশমিক ৩৬ শতাংশ। আর ২০২১ সাল শেষে ১৩ লাখ ১ হাজার ৭৯৭ কোটি টাকা ঋণ স্থিতির বিপরীতে খেলাপি ছিল ১ লাখ ৩ হাজার ২৭৪ কোটি টাকা। মোট ঋণের ৭ দশমিক ৯৩ শতাংশ ছিল খেলাপি। 

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে ঋণ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে প্রধানতম শর্ত ছিল ব্যাংকিং খাতের খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনতে হবে। ঋণ নিয়ে আলোচনা করতে ঢাকায় আসা সংস্থাটির প্রতিনিধি দলের সদস্যরাও বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে উত্থাপন করেন। আইএমএফ এর প্রতিনিধি দলকে খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনারও আশ্বাস দেয় বাংলাদেশ। তবে এতো কিছুর পরও বেড়েছে খেলাপি ঋণ।