খেলাফত আন্দোলনের গণইফতার অনুষ্ঠিত 

বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমীরে শরীয়ত মাওলানা  আতাউল্লাহ হাফেজ্জী বলেছেন,  মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি জালেম বাহিনী পরাজিত হলেও দেশে জুলুম, শোষন বন্ধ হয়নি। দেশের জনগণ স্বাধীনতার সকল ভোগ করতে পারছে না। পুজা, গান-বাজনা ও সভ্যতা বিরোধী অপসাংস্কৃতি অনুষ্ঠানের অনুমতি মিললেও মাঠে কুরআন তেলাওয়াত ও ইফতার মাহফিলের অনুমতি পাওয়া যায় না। প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জনে দেশ প্রেমিক জনগনকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে বাতিলের মোকাবেলা করতে হবে এবং দেশে কোরআন সুন্নাহর আলোকে ইনসাফ ভিত্তিক খেলাফত শাসন কায়েম করে স্বাধীনতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হবে।

আজ ২৬ মার্চ মঙ্গলবার বাদ আছর রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর নূরিয়া মাদরাসা ময়দানে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের উদ্যোগে মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে হাফেজ্জী হুজুরসহ ওলামায়ে কেরামের অবদান শীর্ষক আলোচনা ও গণ ইফতার মাহফিলে সভাপতির ভাষনে তিনি এসব কথা বলেন। 

এতে অন্যান্যের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন দলের মহাসচিব মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী,  নায়েবে আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, মাওলানা আব্দুল্লাহ ইয়াহইয়া, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা সানাউল্লাহ হাফেজ্জী, সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি সুলতান মুহিউদ্দিন, মুফতী ফখরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মুহাম্মাদ লিটন চৌধুরী, মুফতী ইলয়াছ মাদারিপুরী, ইঞ্জিনিয়ার মুফাচ্ছির হোসাইন ও  মুফতি আকরাম হুসাইন প্রমুখ।

মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী বলেন, স্বাধীনতা মহান আল্লাহ তায়ালার অনেক বড় নিয়ামত। আজ ফিলিস্তিন,  কাশ্মীর ও আরাকানের মুসলমানরা বুঝে স্বাধীনতার মূল্য কত। তিনি বলেন, স্বাধীনতার অর্ধ শতাব্দী অতিবাহিত হওয়ার পরেও দেশে জুলুম নির্যাতন বন্ধ হয়নি, ইনসাফ কায়েম হয়নি। ইনসাফ কায়েম করতে হলে আল্লাহর প্রদত্ত কুরআন এবং মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আদর্শে রাষ্ট্র পরিচালনা করতে হবে। তখনই সত্যিকার অর্থে দেশে ইনসাফ কায়েম হবে। জুলুম দুঃশাসন ঘুষ  দুর্নীতি ও বিদেশে অর্থ পাচার বন্ধ হবে। জনগণ প্রকৃত স্বাধীনতা সুফল ভোগ করতে পারবে ইনশাআল্লাহ।

সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন,  দেশের স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস সম্পর্কে জাতিকে অবগত করতে হবে। স্বাধীনতা যুদ্ধে ওলামায়ে কেরামের যে ভুমিকা ছিল তা জাতির কাছে তুলে ধরতে হবে। প্রকৃত ইতিহাস আড়াল করে ওলামায়ে কেরামকে ঢালাও ভাবে  স্বাধীনতা বিরোধী বানানোর অপচেষ্টা চলছে। নাস্তিক মুরতাদদের মিথ্যা অপবাদে হাফেজ্জী হুজুর সড়ক নামটি বাদ দেয়া হয়েছে। অবিলম্বে তা পুনর্বহাল করতে হবে। সভা শেষে দেশ ও জাতির কল্যাণে দোয়া করার পর গণ ইফতারি অনুষ্ঠিত হয়  এতে হাজার হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।